স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী শেরপুরে অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করতে শনিবার দিনব্যাপী অভিয়ান চালিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত অভিযানে শেরপুর সদরের ২৬টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কোন বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তাতক্ষনিত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
শেরপুর সদরে বন্ধ ঘোষিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো হলো, হাজী নিয়ামত উল্লাহ জেনারেল হাসপাতাল, আল বারাকা প্রাইভেট জেনারেল হাসপাতাল, নিরাপদ জেনারেল প্রাইভেট হাসপাতাল, সততা হাসপাতাল প্রাইভেট লিঃ, সাফা জেনারেল প্রাইভেট হাসপাতাল, জননী জেনারেল প্রাইভেট হাসপাতাল, শেরপুর চক্ষু হাসপাতাল এন্ড ফ্যাকো সেন্টার, একতা স্পেশালাইজড হসপিটাল, শেরপুর ইবনে সিনা জেনারেল প্রাইভেট হাসপাতাল, শেরপুর নিউ লাইফ জেনারেল হাসপাতাল, আল মদিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, শিরিয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টার, শেরপুর ইনসাফ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নেক্সাস ডায়াগনস্টিক সেন্টার, গ্রীন লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বাংলাদেশ ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মমতাজ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, খান ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আর এইচ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সিদ্দিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সেন্ট্রাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, শাহাজালাল হেলথকেয়ার প্যাথলজিক্যাল ল্যাব, দারুস শিফা ইসলামিয়া জেনারেল হাসপাতাল, ঢাকা ল্যাব বাগবাড়ি, প্রযুক্তি ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নাজাত ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার নারায়নপুর শেরপুর।
এছাড়া শ্রীবরদী ৬টা, ঝিনাইগাতী ৩, নালিতাবাড়ী ৫, নকলা উপজেলায় ২টি প্রতিষ্ঠানসহ মোট ৪২টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, শেরপুর জেলাজুড়ে অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্বাস্থ বিভাগের অভিযানে ১০১টির মধ্যে ৪২টি বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্টাচার্য্য। এসময় যে সকল প্রতিষ্ঠানের কাগজের মেয়াদ উত্তীর্ণ রয়েছে, তাদের আগামী ১৫দিনের সময় দেয়া হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্টাচার্য্য বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠান লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে, কিন্তু দাপ্তরিক দীর্ঘসূত্রীতার কারণে তা প্রক্রিয়াধীন আছে তারা এ অভিযানের আওতামুক্ত থাকবে। কিন্তু যারা ন্যূনতম কোন অনুমোদনের পরোয়া না করে ব্যবসা করছেন তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
অভিযানে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাসহ জেলা পুলিশের একটি দল উপস্থিত ছিলেন। অনিবন্ধিত সব অবৈধ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান সিভিল সার্জন ।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৬ মে) স্বাস্থ্য অধিদফতর সারা বাংলাদেশে নিবন্ধনহীন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলো ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দেয়।