নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলা বড়দের ঝগড়ার জেরে স্কুলে যাওয়ার পথে তিন ছাত্রীকে পিটিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষ। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার সকালে উপজেলার পেরীরচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলো পেরীরচর গ্রামের মো. ইদ্রিস মিয়ার মেয়ে ৭ম শ্রেণির ছাত্রী আর্তিকা আক্তার (১৩), ছেলে ক্লাস ওয়ানের ছাত্র সাদেকুল ইসলাম (৭) ও তার ভাই আলম মিয়ার মেয়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী মুন্নী আক্তার (১৪)। এদের মধ্যে আর্তিকা আক্তারের মাথায় দুটি সেলাই লেগেছে। এ ছাড়া বাকি দুজনের শরীরে লাঠির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানান চিকিৎসক।
আর্তিকা আক্তার জানায়, সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে প্রতিবেশী রহিম শাহ (৩৫) ও তার স্ত্রী অজুফা (৩০) আমাদের কিল, লাথি ও লাঠি দিয়ে মারধর শুরু করেন। আমাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাদের হাত থেকে উদ্ধার করে। শুনেছি আমাদের পরিবারের সঙ্গে তাদের ঝগড়া রয়েছে।
আর্তিকার চাচী হাফছা আক্তার জানান, জমির পাশের মাটি কাটা নিয়ে রহিম শাহর সঙ্গে আমাদের পরিবারের দ্বন্দ্ব আছে। এর জেরে সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে বাচ্চাদের এভাবে মেরে জখম করেছে। ঝামলো তো বড়দের সঙ্গে ছিল কিন্তু বাচ্চাদের মারলো কেন? এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।
আর্তিকার বাবা ইদ্রিস মিয়া বলেন, ঝামেলা বড়দের কিন্তু তারা বাচ্চাদের স্কুলে যাওয়ার পথে মেরেছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আর্তিকা আক্তার (১৩) খুরশিমুল উচ্চবিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ও মুন্নী আক্তার (১৪) একই বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। আর সাদেকুল ইসলাম (৭) পেরীরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র।
মোহনগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।