শেরপুরের শ্রীবরদীতে বেশ কয়েক মাস যাবত সবজি জাতীয় পণ্যের বাজার উর্ধমুখী। এর মধ্যে আবার দুর্গা পুজার পর থেকে নতুন করে যোগ হয়েছে কাঁচা মরিচের আকাশ ছোঁয়া দাম। মরিচের ঝালে নাকাল হয়ে পরেছে ক্রেতা সাধারন। শ্রীবরদীর বিভিন্ন বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১ শত ৬০ টাকা থেকে ২ শত টাকা কেজি পর্যন্ত। পুজার আগে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হত ১ শত থেকে ১ শত ২০ টাকা কেজি। এবছর দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কারণে সবজি উৎপাদনে ব্যহত হওয়ায় ৫০ টাকার নিচে কোন সবজি নাই। শুধুমাত্র কচুঁ জাতীয় সবজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি। গতকাল শ্রীবরদীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে বেগুন ৭০-৭৫ টাকা, টমেটো ও গাজর ১০০-১১০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, করল্লা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, পেঁয়াজ ৪০ ও রসুন ৬০ টাকা পটল, বরবটি, কাকরল, ধুধুল ও চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি এবং জালি প্রতি পিস ৩৫-৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে কলমি, মুলা, পাট ও লাল শাক প্রতি আটি বিক্রি হচ্ছে ১০-২০ টাকা। এবছর বন্যার কারণে এ উপজেলায় দেশীয় প্রজাতীর মাছের দাম কিছুটা কম হলেও সবজির দাম বেশির কারণে সবজি কিনতে হিমশিম খাচ্ছে স্বল্প আয়ের মানুষ। সবজি ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, এবছর দীর্ঘ মেয়াদী বন্যার কারণে সবজি উৎপাদনে ব্যহত হওয়ায় সবজির দাম অনেক বেশি বেশি। শীত কালিন নতুন সবজি বাজারে না আসা পর্যন্ত সবজির দাম কমবে না। তাছাড়া, পুজার বন্ধ থাকার কারণে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ না আসায় বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে মরিচ। তবে দুই এক দিনের মধ্যে কাঁচা মরিচের বাজার কমবে।
শ্রীবরদী কাঁচা বাজার বহুমুখী ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল কালাম শেরপুর টাইমসকে জানান, এবছর ঘনঘন বৃষ্টিপাত ও দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কারণে বাজাওে স্থানীয় সবজির আমদানী একেবারেই কম। তাই সবজির চাহিদা অনেক বেশি সাধারন ক্রেতাদের। ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে কুষ্টিয়া, যশোরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সবজি আমদানী করতে হচ্ছে।
শেরপুর টাইমস/ বা.স