শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর প্রহর গুনছেন ক্যান্সার আক্রান্ত দিনমজুর হারুন মিয়া (৫৫)। তিনি গত ৮ মাস ধরে ক্যান্সারে রোগে কর্মহীন হয়ে নিজ বাড়িতে ধুকেধূকে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
হারুন মিয়া উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের ডেফলাই গ্রামের মরহুম আবুল মুন্সির ছেলে। পেশায় তিনি একজন দিনমজুর। বসতবাড়ির ৫ শতাংশ জমি ছাড়া সহায় সম্বল বলতে কিছুই নেই তার। ৬ মেয়েসহ ৮ সদস্যের পরিবার হারুন মিয়ার। দিনমজুরি করে যা আয় হতো তা দিয়ে কোন রকমে চলতো তার সংসার। অতিকষ্টে ৪ মেয়ে বিয়ে দিয়েছেন। একমেয়ে বিবাহযোগ্য টাকা পয়শার অভাবে বিবাহ দিতে পারেননি । হারুন মিয়া জানান, ফুসফুসে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ৮ মাস যাবত কর্মহীন থাকায় খেয়ে না খেয়ে অনাহারে অর্ধাহারে মানবেতর জীবনযাপন করছে তার পরিবার। টাকা পয়শার অভাবে চিকিৎসাও নিতে পারছেন না দরিদ্র পরিবারটি। চিকিৎসকরা তাকে ভারতের মাদ্রাজ যেতে পরামর্শ দিয়েছেন। তার আগে কেমোথেরাপি দিতে বলেছেন। কিন্তু টাকা পয়শার অভাবে কোন প্রকার চিকিৎসা করাতে পারছেন না দরিদ্র পরিবারটি। তিনি জানান প্রশাসনও জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে কোন কাজে আসেনি। বর্তমানে তিনি বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম হারুন মিয়া ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ায় পরিবারটি এখন দিশেহারা হয়ে পরেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক আল মাসুদ জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি সাহায্যের আবেদন করতে পরামর্শ দিয়েছেন। হারুন মিয়ার স্ত্রী রাহেলা বেগম তার স্বামীর চিকিৎসা করাতে প্রশাসনসহ দেশের বৃত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন। সাহায্য পাঠানো ও পরিবারের সাথে যোগাযোগের জন্য মোবাইলঃ – ০১৩১৫০৮৩৬৯৭।