শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার বনকূড়া এলাকা হতে লাইসেন্স বিহীন একটি মাদি হাতি উদ্ধার করেছে বন বিভাগের কর্মকর্তারা। এই ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর ওই হাতির মাউত আব্দুর রউফকে গ্রেফতার করে আজ মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করেছে পুলিশ। রউফের বাড়ি উপজেলার বনকুড়া গ্রামে। আর হাতির মালিক আবদুল করিম মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার রাজকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। এর আগে সোমবার (২৫ এপ্রিল) সকালে হাতিটি উদ্ধার করেন শেরপুরের বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তারা।
বন বিভাগের মধুটিলা রেঞ্জকর্মকর্তা আবদুল করিম জানান, হাতির মাউত আব্দুর রউফ মালিক আবদুল করিমের কাছ থেকে ভাড়ায় এনে হাতি দিয়ে দেশের বিভিন্নস্থানের হাটবাজারে অবৈধভাবে চাঁদাবাজি করে আসছিল। গত রোববার (২৪ এপ্রিল) নালিতাবাড়ী উপজেলার বনকুড়া গ্রামে শিকলবন্দী ওই হাতিটি পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের নজরে আসলে তারা বন বিভাগ ও পুলিশ প্রশাসনকে অবগত করেন। পরে বন বিভাগের কর্মকর্তারা হাতিটি উদ্ধার করে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করার পর পুলিশ হাতির মাউত আব্দুর রউফকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করেন।
মামলার বাদী বন বিভাগের সদর রেঞ্জকর্মকর্তা মঞ্জুরুল আলম বলেন, হাতি পালনের বৈধ কাগজপত্র না থাকায় হাতির মালিক আবদুল করিম ও মাউত আব্দুর রউফের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে শেরপুরের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুমন সরকার জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে হাতিটি উদ্ধার করে মধুটিলা ইকোপার্কে রেখে দিয়েছি। হাতি লালন পালনের বৈধ কোন কাগজপত্র তথা লাইসেন্স না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ এর ৩২/(১) ক এবং ২৪ (১)/৪৯ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় হাতির মাউত কারগারে গেলেও মালিক পলাতক রয়েছে।