শেরপুরে দুই দল কিশোরের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। ১৬ মার্চ বুধবার রাতে শহরের গৃর্দানারায়ণপুর এলাকায় নবারুণ পাবলিক স্কুলের সামনে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে দুইজনকে গুরুতর অবস্থায় জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরা হচ্ছে শহরের নারায়ণপুর এলাকার বাসিন্দা মহসিন কবির মুরাদের ছেলে এমরুল কায়েস ত্বাহা (১৪) ও শ্রীবরদী উপজেলার রিসালাত আহমেদ রুকন (১৫)। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে গেছে। আহতরা সবাই ওই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র।
জানা গেছে, বুধবার রাত সোয়া ৮টার দিকে নবারুণ পাবলিক স্কুলে কোচিং শেষে বাড়ি ফিরছিল ত্বাহা ও রুকনসহ তাদের সহপাঠীরা। স্কুল থেকে বের হয়ে মূল সড়কে আসতেই পেছন থেকে একদল তরুণ সবাইকে আক্রমণ করে। এতে ত্বাহা ও রুকনসহ ১০ জন আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে লাঠিসোটা উদ্ধার করে। সন্দেহজনক কয়েকজনের বাসাতেও হানা দেয় পুলিশ।
আক্রান্ত দুজন ও স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হামলাকারীরা নবারুণ পাবলিক স্কুলের প্রাক্তন মেধাবী ছাত্র এবং তারা শেরপুর সরকারি কলেজসহ ঢাকার বিভিন্ন কলেজের একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। তবে কি কারণে এ ঘটনা ঘটেছে কেউ স্পষ্ট করে বলতে পারছে না। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এ ঘটনায় সিগারেট খাওয়া এবং প্রেমঘটিত বিষয় থাকতে পারে। ওই ঘটনায় উঠতি বয়সি শিক্ষার্থীদের বাবা-মায়েরা ব্যাপক উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছে মেধাবি এই ছেলেদের এখনই শাসন না করলে তারা আস্কারা পেয়ে আরও বড় ঘটনা ঘটাতে পারে। আহত ত্বাহা জানিয়েছে, হামলাকারীদের মধ্যে জয় ও বিজয় নামে দুজনকে চিনতে পেরেছে সে।
নবারুণ পাবলিক স্কুলের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হাসান উৎপল জানান, বিষয়টি দেখা হচ্ছে। ব্যবস্থা নিতে স্কুলের পক্ষ থেকে প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনসুর আহম্মেদ বলেন, ওই ঘটনায় এখনও কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। তবে ঘটনায় জড়িত বেশ কয়েকজনের নাম-ঠিকানা পাওয়া গেছে। মামলা হলেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।