চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে মাধ্যমিক স্তরে পুরোদমে ক্লাস শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, আশা করছি চলতি মাসের মাঝামাঝি মাধ্যমিকে পুরোদমে ক্লাস শুরু হবে।
আজ শুক্রবার (৪ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘স্টাডি ইন ইন্ডিয়া- এডুকেশন ফেয়ার ২০২২’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পুরোদমে ক্লাস শুরু হলে অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম চলবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যারা কোনো কারণে শ্রেণিকক্ষে আসতে পারছে না, তারা হয়ত অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রমের আওতায় থাকবে। যেখানে দরকার মনে হবে, সেখানেই অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হবে।
পুরোদমে ক্লাস চালু হলে ব্লেন্ডেড এডুকেশনের পাইলটিংয়ে কোনো সমস্যা হবে কি-না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, ব্লেন্ডেড এডুকেশনের জন্য তারা ন্যাশনাল পলিসি করছেন। আগামী ২৬ মার্চ সেই পলিসি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানোর কথা রয়েছে। এ জন্য খুব জোরেশোরে কাজ চলছে। মন্ত্রী বলেন, সেটি হয়ে যাওয়ার পর আমরা নির্ধারণ করব- কী করে, কোথায়, কীভাবে করব? তার জন্য আমাদের অনেক রকমের প্রস্তুতিও নিতে হবে। ব্লেন্ডেড করতে হলে সকল ক্লাসরুমকে সেভাবে সাজাতে হবে। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ চলছে, আরও দিতে হবে। এটা এই মুহূর্তেই হয়ে যাবে, এমন নয়। আমাদের কাজ চলছে।
পূর্ণ সিলেবাসে মেডিক্যালের ভর্তি পরীক্ষার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডা. দীপু মনি বলেন, আমরা পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসে এইচএসসি পরীক্ষা নিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়েও পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসে পরীক্ষা হওয়া উচিৎ। এটাই যৌক্তিক। আমি বিএমডিসির প্রধান ও স্বাস্থ্যশিক্ষা সচিবের সাথে এ বিষয়ে আলাপ করেছি। তারা আমাকে বিষয়টি ভেবে দেখবেন বলে জানিয়েছেন। আমি প্রয়োজনে আবারও তাদের সাথে কথা বলব।
এর আগে এডুকেশন ফেয়ারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, এখন স্বাধীনতার মাস, এই মাসে বিশেষ করে মনে করতে হয় ভারতের বন্ধুপ্রতিম জনগণ ও সরকারকে। একাত্তরের স্বাধীনতাযুদ্ধে আমাদের প্রতি তাদের অসাধারণ ভ্রাতৃত্ব, সৌহার্দ্য, সহযোগিতা ছিল। তারা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল খাদ্য দিয়ে, আশ্রয় দিয়ে, চিকিৎসা দিয়ে, অস্ত্র দিয়ে, সবকিছু দিয়ে এবং তাদের সৈন্যরা আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি লড়াই করেছেন, রক্ত দিয়েছেন আমাদের যোদ্ধাদের মতন।
কাজেই, এই দুই দেশের বন্ধন শুধু ভৌগোলিক বা পাশাপাশি আছি এই বলে নয়, আমাদের বন্ধন আত্মার। কাজেই আমরা একসঙ্গেই চাই আমাদের দুটো দেশ একসাথে এগিয়ে যাক, আর সেক্ষেত্রে শিক্ষা একটা বড় মাধ্যম বলে দাবি শিক্ষামন্ত্রীর।