ময়মনসিংহের ত্রিশালের ধানীখোলা গ্রামে এক তরুণীর মাথাবিহীন লাশ উদ্ধারের চারদিন পর তার পরিচয় উদ্ধার ও হত্যাকারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে- বিয়ের চাপ দেওয়ায় প্রেমিকাকে হত্যার পর মাথা বিচ্ছিন্ন করে প্রেমিক। এরপর নিজ গ্রামের একটি ডোবায় লুকিয়ে রাখে লাশ।
নির্মম এ হত্যাকাণ্ডের শিকার তরুণীর নাম সুলতানা বেগম। তিনি রংপুরের মিঠাপুকুর গ্রামের তিলকপাড়া গ্রামের ফুলু মিয়ার মেয়ে। এ হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা গ্রেফতারকৃত সেলিম মল্লিক ত্রিশালের ধানীখোলা গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ধানীখোলা গ্রামে আসামির দেখানো স্থান থেকে ঐ তরুণীর মাথাটি উদ্ধার করা হয়। পরে এক সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার বিস্তারিত জানান র্যাব-১৪ এর অধিনায়ক উইং কমন্ডার মো. রোকনুজ্জামান।
তিনি বলেন, কর্মসূত্রে গাজীপুরে থাকতেন সুলতানা বেগম। সেলিমের সঙ্গে মোবাইলে পরিচয়ের এক পর্যায়ে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান তিনি। প্রায়ই তারা দেখা করতেন। সম্প্রতি সেলিমকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেয় সুলতানা। এটিই কাল হয় তার জন্য। বিয়ের চাপ থেকে মুক্তি পেতেই সুলতানাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয় সেলিম।
উইং কমন্ডার মো. রোকনুজ্জামান বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ১ জানুয়ারি সুলতানাকে নিয়ে দিনভর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ায় সেলিম। এরপর রাতে কাটাখালী এলাকায় নিয়ে এসে একজনের সহায়তায় নির্মম-নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় সুলতানাকে। পরে লাশের পরিচয় গোপন করার উদ্দেশ্যে তার দেহ থেকে মাথা আলাদা করে একটি ডোবায় লুকিয়ে রাখে তারা। পরদিন উদ্ধার হয় সুলতানার মাথাবিহীন লাশ।
এরপর বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ ও তদন্ত শুরু করে র্যাব-১৪। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনার চারদিনের মাথায় হত্যাকাণ্ডে সেলিমের সম্পৃক্ততার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান র্যাব-১৪ এর অধিনায়ক উইং কমন্ডার মো. রোকনুজ্জামান।
#ডেইলি বাংলাদেশ