শেরপুরে মো. আব্দুল খালেক (৫২) নামে সার্কিট হাউজের এক কর্মচারীকে র্যাবের স্টিকারযুক্ত গাড়িতে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে ২ য্বুককে মাগুরা জেলা থেকে আটক করেছে পুলিশ। একইসাথে অপহৃত আব্দুল খালেককে উদ্ধারসহ অপহরণকারীদের কাছ থেকে একটি খেলনা পিস্তল, ওয়াকিটকি, চার্জার ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মাগুরা সদর উপজেলার কাশিনাথপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হচ্ছে মাগুরা সদর উপজেলার কাশিনাথপুর এলাকার আনসার মোল্লার ছেলে মো. ইয়াসিন আলী (২৫) ও একই এলাকার নায়েব আলী শেখের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর হোসেন (৩৩)। ওই ঘটনায় সদর থানায় বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে আব্দুল খালেক বাদী হয়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। অন্য ২ আসামি হচ্ছেন একই জেলার মো. শিপন (২৬) ও মো. সোহেল (২৮)। ওই মামলায় আটককৃত ২ জনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১২ ডিসেম্বর শেরপুর সদর উপজেলার কামারিয়া এলাকার বাসিন্দা ও শেরপুর সার্কিট হাউজের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী আব্দুল খালেক বাড়ি থেকে বের হয়ে ভোর চারটায় নবীনগর বাস টার্মিনাল থেকে মুনিমুক্তা বাসযোগে ঢাকায় যান। ঢাকায় পৌঁছে আব্দুল খালেক মগবাজার যাওয়ার পর ইয়াসিন তাকে ফোন করে তার সাথে দেখা করতে বলে। পরে সেখানে ইয়াসিন ও জাহাঙ্গীরসহ কয়েকজন আব্দুল খালেককে র্যাবের স্টিকারযুক্ত একটি গাড়িতে জোর করে উঠিয়ে চোখ বেঁধে ফেলে এবং নির্যাতন শুরু করে। সেখান থেকে তাকে মাগুরা জেলায় নিয়ে একটি ভবনের দুতলায় রেখে নির্যাতন চালায় এবং ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে খালেকের পরিবার প্রথমে ৫০ হাজার ও পরে আরও ১০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে অপহরণকারীদের কাছে পাঠায়।
এদিকে, ওই ঘটনায় খালেকের পরিবার থানায় একটি জিডি করার পর পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত শুরু করে। পরে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় অপহৃত আব্দুল খালেককে উদ্ধার এবং অপহরণকারী ইয়াসিন ও জাহাঙ্গীরকে আটক করে পুলিশ।
অপহৃত আব্দুল খালেক জানান, আমি একজন নিরীহ মানুষ। আমাকে তারা অপহরণ করে আটকে রেখে নির্যাতন চালিয়েছে ও মুক্তিপণ নিয়েছে। যদি সেদিন পুলিশ ও র্যাব আমাকে উদ্ধার না করতো তারা আমাকে মেরে ফেলতো। আমি অপহরণকারীদের কঠোর শাস্তি চাই।