শেরপুর জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলীসহ ২৯ জনের নামীয় এবং অজ্ঞাত আরো ৫০ জনের বিরুদ্ধে মারামারি ঘটনার মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানাগেছে, গত ৪ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকেলে সদর উপজেলার বলাইচর ইউনিয়নের কুমরার চর আদর্শ গ্রামে স্থানীয় বিএনপি’র আয়োজনে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান-এর কারামুক্তি দিবসের আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
মামলার বাদীর অভিযোগ, অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলী প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক হযরত আলীর নির্দেশে ওই অনুষ্ঠানের সভাপতি স্থানীয় ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান মো. দুলাল মিয়াসহ স্থানীয় বিএনপি’র নেতা-কর্মীদের নিয়ে ওই গ্রামের জঙ্গলদি দশানি বাজার তিন রাস্তা মোড়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী এবং তাদের দোকান-পাটে হামলা চালায়। এতে ৮ নেতা-কর্মী ও সমর্থক আহত হলে তাদের মধ্যে ৬ জনকে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভার্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ছামিদুল ইসলাম বাদী হয়ে বিএনপি’র সধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলী, স্থানীয় বিএনপি নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. দুলাল মিয়াসহ ২৯ জন নামীয় এবং আরো ৫০ থেকে ৬০ জন অজ্ঞাত নামা ব্যাক্তিকে আসামী করে শেরপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে সদর থানায় ওসি তদন্ত আব্দুল্লাহ আল মামুন জানায়, মারামারি’র ঘটনায় মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপি’র সাধরণ সম্পাদক মো. হযরত আলী বলেন, ওই দিন আমি কোন উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখিনি এবং বিএনপি-আওয়ামী লীগের সাথে কোন মারামারি হয়নি। আমাদের সভার স্থান থেকে অনেক দুরে স্থানীয় গ্রামবাসীর দুই গ্রুপে সংর্ঘের ঘটনা ঘটেছে। এটাকে পুজি করে আমাদেরকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের এমপি ও জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিকের নির্দেশে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দরা মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানী করছে।
এদিকে বিএনপি নেতা হযরত আলীসহ ৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিএনপি’র সহ দপ্তর সম্পাদক বেলাল আহম্মেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপি’র মহা সচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম বলেন, সরকার রাজনৈতিক প্রতি’িহংসার বশঃবর্তী হয়েই জাতীয় সংসদের হুইপ আতিকুর রহমান আতিকের নির্দেশে শেরপুর জেলাধীন সদর উপজেলা কর্তৃক আয়োজিত বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান-এর কারামুক্তি দিবসের আলোচনা সভায় পুলিশ ও আওয়ামী সশস্ত্র ক্যাডাররা হামলা চালিয়ে অনুষ্ঠানে ভাঙচুর করে এবং অসংখ্য নেতাকর্মীকে আহত করে। পরবর্তীতে গতকাল ৫ সেপ্টেম্বর বিএনপির সাধারণ স¤পাদক হযরত আলীসহ ২৯ জনকে আসামী করে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের করে। এ ধরণে ন্যাক্কারজনক ঘটনা সরকারের ধারাবাহিক সন্ত্রাসী কর্মকান্ডেরই অংশ। আমি এই ধরণের কাপুরুষোচিত হামলা চালিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের আহত করা ও বানোয়াট মামলা দায়েরের ঘটনার তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাই এবং বিএনপি আলোচনা সভায় হামলার ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি করছি।