তৃতীয় ধাপে ২৮ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে অংশ নিয়ে নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার আট ইউনিয়নের মধ্যে সাত ইউনিয়নে ১৬ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন। আর এক ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত থাকায় তার ফল জানা যায়নি।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট বিধি অনুযায়ী, মোট ভোটের আট ভাগের এক ভাগেরও কম ভোট পাওয়ায় ওই প্রার্থীরা তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছেন। এই উপজেলার আট ইউনিয়নে ৩৬ প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন— কলমাকান্দা সদর ইউনিয়নে মো. আব্দুল মোমেন, মো. কামাল মিয়া ও মো. সাখাওয়াত হোসেন। নাজিরপুর ইউনিয়নে মো. রাজু আহম্মেদ। পোগলা ইউনিয়নে মোজাম্মেল আলম খান, মো. রতন মিয়া, মো. শামসুল ইসলাম শান্তু ও রাসেল মিয়া। বড়খাপন ইউনিয়নে অঞ্জন সরকার। লেংগুরা ইউনিয়নে মুফতি ফয়জুল্লাহ ও মো. আবু রায়হান। কৈলাটী ইউনিয়নে বাসির উদ্দিন। আর রংছাতি ইউনিয়নে আফতাব উদ্দিন, মীর আইয়ুব নবী, মো. আব্দুর রাজ্জাক ও মো. সুরুজ মিয়া।
কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুছা বলেন, ইউপি নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রত্যেক প্রার্থীকে সরকারি কোষাগারে পাঁচ হাজার টাকা করে জামানত দিতে হয়। সেই জামানতের টাকা ফেরত পেতে ওই ইউনিয়নের মোট প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ পেতে হয়। যেসব প্রার্থী এই পরিমাণ ভোট পাবেন না, তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে।
#যুগান্তর