এবার কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান বাক্সে পাওয়া গেছে ৩ কোটি ৭ লাখ ১৭ হাজার ৫৮৫ টাকা। যা এ পর্যন্ত একসাথে দানবাক্স থেকে পাওয়া সর্বোচ্চ টাকা।
প্রতি চার মাস অন্তর এই মাসজিদের দানবাক্সগুলো জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে খোলা হয়। এরপর সবার সামনে বসেই চলে গণনা। প্রতিবারের ন্যায় শনিবার (৬ নভেম্বর) খোলা হয় মসজিদের দানবাক্স। এবার বাক্সগুলো খুলে গণনা শেষে এই অর্থ পাওয়া গেছে। পাশাপাশি পাওয়া গেছে সোনা, রূপাসহ বিপুল পরিমাণ বিদেশী মুদ্রা।
এর আগে সর্বশেষ ১৯ জুন দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন সর্বোচ্চ দুই কোটি ৩৩ লাখ ৯৩ হাজার ৭৭৯ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। সাধারণত তিন মাস পর পর পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়। কিন্তু মহামারী করোনাভাইরাস শুরু হওয়ার পর থেকে বিলম্বে দানবাক্স খোলা হচ্ছে। এবার ৪ মাস ১৭ দিন পর মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হলো।
শনিবার সকাল ৯টার দিকে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়। বাক্সগুলো থেকে টাকা বের করে প্রথমে বস্তায় রাখা হয়। এরপর শুরু হয় গণনার কাজ।
রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক ও কিশোরগঞ্জ করপোরেট শাখার প্রধান মো: রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ওই ব্যাংকের ৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী টাকা গণনায় অংশ নেন। তাদেরকে টাকা ভাঁজ করে সহযোগিতা করছেন পাগলা মসজিদ অধীন মাদরাসার শতাধিক ছাত্র ও শিক্ষকরা।
পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( শিক্ষা) গোলাম মোস্তফা টাকা গণনার কাজ দুপুরে এসে পরিদর্শন করেন।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা খানমের তত্ত্বাবধানে টাকা গণনার কাজ তদারকির দায়িত্বে আছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শফিকুল ইসলাম, শিহাবুল আরিফ, অর্ণব দত্ত ও মো: মাহমুদুল হাসান। টাকা গণনার কাজ নিজ চোখে দেখতে শহরের গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ মসজিদে ছুটে যান এ দিন।