শেরপুরের নকলা উপজেলার যাচাই বাছাইয়ে ৬৩ জন বিএলএফ (মুজিব বাহিনী) দাবিদারের নাম তালিকায় অন্তর্ভূক্ত না হওয়ায় ৮ ফেব্রুয়ারি বুধবারে ২০ জনসহ ২১ জন জামুকাতে আপিল ফরম জমা করেছেন। জানা গেছে, গত ২১ জানুয়ারিতে নকলা উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই চলে। কিন্তু দীর্ঘ দশ দিন পর ১ ফেব্রুয়ারি বুধবার মঞ্জুরকৃত, দ্বিধাবিভক্ত ও না-মঞ্জুর কৃতদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। ৭৫ টি আবেদন ও ১৯ জন অভিযুক্তদের মধ্যে ছয় সদস্যের যাচাই বাছাই কমিটি সাক্ষাৎকার গ্রহণ শেষে ১৯ জনের ব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সর্বসম্মতিক্রমে একমত হন। যাচাই বাছাই কমিটির তথ্য মতে, অনলাইনে ৬৩ টি ও ১২ জন সরাসরি আবেদন করেছিলেন। আবদেনকৃত ৭৫ জন এবং অভিযুক্ত ১৯ জন সহ মোট ৯৪ জনের মধ্যে যাচাই বাছাই চলে। অভিযুক্তদের মধ্যে ৮ জন এবং অন্যান্য ১১ জনকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সর্বসম্মতিক্রমে সুপারিশ করে যাচাই বাছাই কমিটি।
তথ্য মতে, অভিযুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৫ জন দীর্ঘ দিন যাবৎ মুক্তিযোদ্ধার সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করে আসছেন। তাছাড়া ধনাকুশা গ্রামের মোঃ আনছার আলী, মোঃ তোফাজ্জল হোসেন ও মোঃ মোফাজ্জল হোসেন এই তিন জনের ব্যাপারে দ্বিধাবিভক্ত সিদ্ধান্তের তালিকা প্রকাশ করা হয়।
যাচাই বাছাইয়ে নাম তালিকায় অন্তর্ভূক্ত না হওয়ায় নাখুশ হয়ে বঞ্চিত হওয়া ৬৩ জন বিএলএফ (মুজিব বাহিনী) দাবিদারের মধ্য থেকে ২৯ জন ৩ফেব্রুয়ারি শুক্রবারে গৌরিপুর এলাকার কাজিবাড়ি ঈদগাহ মাঠে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, বিএলএফ (মুজিব বাহিনী)’র পক্ষে নুরুজ্জামান, বিএলএফ সদস্য ডাঃ হেফজুল বারী খান, আব্দুর রশিদ ও আব্দুল মন্নাফ খাঁন। তারা লিখিত বক্তব্যে নকলার যাচাই বাছাইয়ে যথেষ্ঠ অনিয়ম ও অসম্মান জনক আচরনের অভিযোগ করেন। তারা এ বিষয়ে প্রধান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। অবশেষে ৮ ফেব্রুয়ারি বুধবারে ২০ জনসহ ২১ জন জামুকাতে আপিল ফরম জমা করলেন।