জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় চলতি মৌসুমের রোপা আমন ধানের ক্ষেতে মাজরা পোকা ও পাতা মোড়ানো পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। ক্ষেতে কীটনাশক ব্যবহারেও এসব পোকা দমন করা যাচ্ছে না। ফলে ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক।
জানা গেছে, চলতি মৌসুমে এ উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ১২ হাজার ৯ হাজার ৬৮০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড ও উফশী স্থানীয় জাতের ধান বেশি চাষ করা হয়েছে।
গত সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এ উপজেলায় বন্যায় ব্যাপক রোপা আমন পানিতে তলিয়ে যায়। ক্ষেত থেকে পানি নেমে যাওয়ার কিছুদিন পর থেকেই পোকার আক্রমণ দেখা দেয়। এ পরিস্থিতিতে বন্যা কবলীত সাপরধী, বেলগাছা, নোয়ারপাড়া, কুলকান্দী, পাথর্শী, সদর ও গোয়ালেরচর ইউনিয়নে রোপা আমন ধানের ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
সাপধরী ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন জানান, এ বছর পোকার আক্রমণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
গাইবান্ধা ইউপির বলিদাপাড়া গ্রামের কৃষক সুলতান আকন্দ বলেন, নিয়মিত বালাইনাশক ব্যবহার করলেও কোনো কাজ হচ্ছে না।
নোয়ারপাড়া ইউপির সোনামুখী গ্রামের সাইদুর রহমান বলেন, পোকার দমনে বৃষ্টি না হওয়ায় স্যালো মেশিন দিয়ে ক্ষেতে পানি দেওয়া হচ্ছে। এতে অতিরিক্ত খরচ গুণতে হচ্ছে। ফলন ভালো না হলে বড় ধরনের লোকসান গুণতে হবে।
কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কর্মকর্তারা পোকার আক্রমণ থেকে রোপা আমন ধান রক্ষা করতে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এম. রেজওয়ান বলেন, ‘আমরা নিয়মিত খোঁজখবর রাখছি। যাতে পোকার আক্রমণে ফসল নষ্ট না হয়। কৃষকরা একটু সচেতন হলেই মাজরা পোকা ও পাতা মোড়ানো রোগ দমন সম্ভব। আশা রাখি, সমস্যা সমাধান হবে।’