শেরপুর জেলার পুরাতন ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি কমতে থাকায় শেরপুর জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। বন্যার্তরা ত্রানের জন্য মানুষ হাহাকার করছে। তবে সরকারী বেসরকারীভাবে বিতরণ করা হচ্ছে ত্রাণ সামগ্রী। এরই মধ্যে শেরপুর জেলা বিএনপি ৩দফায় বিতরণ করেছে ত্রাণ সামগ্রী। আজ ২২ আগষ্ট ত্রান সামগ্রী বিতরণ করা হয় বিএনপির পক্ষ থেকে। শেরপুর সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী, চরমুচারিয়া ও কামারেরচরে প্রায় ৩ হাজার মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয় চাল ডাল, লবন, মোবাতিসহ অন্যান ত্রাণ সামগ্রী।
ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কালে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, বিএনপি এমন একটি দল, যে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমান। যিনি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে চট্রগ্রাম থেকে স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে পালিয়ে না গিয়ে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন। যুদ্ধশেষে আবার তিনি ব্যারাকে ফিরে আসেন ৭৫ সিপাহী জনতা তাকে কারাগার থেকে মুক্তি করে ক্ষমতায় বসিয়ে ছিলেন। আর জীবনের শেষদিন পর্যন্ত মানুষের সেবা করে গেছেন। আর দেশনেত্রী ও তারেক রহমান বিদেশে চিকিৎসা অবস্থায় থেকেও আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন বন্যার্তদের পাশে দাড়াতে। তাই আমাদের কাছে যা আছে তা নিয়েই বন্যার্তদের পাশে এসে দাড়িয়েছি। আর সরকার ভোটার বিহীন নির্বাচন করতে নীল নকশা আকছে। তারা মানুষের পাশে নেই। তিনি আরো বলেন, সরকার প্রহসনের নির্বাচন করার যত চেষ্টাই করুকনা কেন আগামী নির্বাচন হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সকল দলের অংশগ্রহনের মাধ্যমে। এজন্য সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, কুমিল্লা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আ: আওয়াল খান, ফরিদপুর বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, কেন্দ্রীয় সহধর্ম সম্পাদক এটিএম আব্দুল বারী ডেনী, কেন্দ্রীয় সদস্য হায়দার আলী লেলিন, ওমর ফারুক সাফিন, শেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেল, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো: হযরত আলী, বিএনপি নেতা এডভোকেট আব্দুল মজিদ বাদল, আওয়াল চৌধুরী, ফরহাদ আলী, এমদাদুল হক মাষ্টার, যুবনেতা সফিকুল ইসলাম মাসুদ, ঢাকা উত্তর ছাত্রদলের সভাপতি মিজানুর রহমান রাজা প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
অপরদিকে ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, যখন দেশের মানুষ বন্যায় ভাসছে, মানুষ ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে তখন সরকার প্রেসিডেন্ট, প্রধান বিচারপতিসহ বিভিন্ন স্থানে দৌড়ঝাপ পাড়ছে কিভাবে আগামী নির্বাচন একটি সাজানো নির্বাচন করা যায়। কারণ সরকারের পায়ের তলার মাটি সরে গেছে, আর মাথার ওপর থেকে ছাতাও সরে গেছে। তিনি আরো বলেন, পুলিশের সহায়তায় সরকার বিরোধী দলকে কথা বলতে দিচ্ছেনা।
জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেল বলেন, সরকার বলে দেশে বিএনপি নেই। পুলিশ নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করলে দেশে আওয়ামীলীগই থাকতে পারে না বিএনপি থাকতে পারে তা প্রমান করবে এদেশের জনগন।
সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী বলেন, শেরপুরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ভোটার বিহিীন নির্বাচনের অবৈধ ভাবে নির্বাচিত জাতীয় সংসদের হুইপ এলাকায় একবার ঘুরে গেলেও এক কেজি চালও বন্যার্তদের মাঝে দিয়ে যাননি। আর কৃষিমন্ত্রী তো আছে মানুষের দোষ ধরার জন্য। কিন্তু শেরপুরের মানুষের উন্নয়নে বা তাদের দু:খে পাশে দাড়াতে তিনি পারেননা।