শেরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও চরশেরপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো: রফিকুল ইসলাম মিল্টনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে জমি দখল করে রাখার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার চাচা ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবু তারিক। যদিও অভিযুক্ত শিক্ষকের দাবী, বহু বছর ধরে পারিবারিক ভাবে পাওয়া জমি ভোগ দখলে আছে আমার। এসব আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ।
আজ সকাল ১১ টায় শেরপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবু তারিক।
এসময় তিনি বলেন, আমি শেরপুর সদর উপজেলার ২নং চরশেরপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত যোগিনীবাগ গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। আমি আমার পৈত্রিক সম্পত্তি ওয়ারিশ অনুযায়ী ভাগ করে নেই। ভাগ করার ফলে আমার বড় ভাই এ.কে.এম খসরু ১১১ শতক জমি (১ ভাই, ১ বোনের অংশ) পায়। কিন্তু সে আজ পর্যন্ত ১২৬.৪৬ শতক জায়গা ভোগ দখল করে আসছে। আমরা জমি চাইতে গেলে বিভিন্ন টালবাহানা করতে থাকে। যার ফলে পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে আমি আমার হিসসা অনুযায়ী স্ত্রীকে ২৫ শতক জমি দান করি। হিসাব অনুযায়ী যা পাওনা হবে তা অন্য দাগ থেকে দিয়া দিব। উল্লেখ্য যে, আমার বড় ভাই এ.কে.এম খসরু তাহা ভোগদখল করে আসছে।
আমার পৈত্রিক সম্পত্তি ৫০ শতক এবং অন্য অন্য লোকের নিকট থেকে ক্রয়কৃত ১২.৫০ শতক মোট ৬২.৫০ শতক জায়গা এবং ২৫ শতক জায়গার মধ্যে ঘর উঠিয়ে বেদখল করে রেখেছে। ৬ বৎসর যাবৎ উক্ত জমি ঠিকমতো চাষাবাদ করতে দিচ্ছে না। আজ পর্যন্ত আমাদের বর্গাচাষীকে জমি চাষ করতে বাধা প্রদান করে আসছে। আমরা গত ১০ আগষ্ট তারিখ সকাল আনুমানিক ৮ টা ৩০ ঘটিকার সময় বি,আর,এস ২৮২ নং খতিয়ানে ৪১৫ নং দাগে আইল বাধতে গেলে আমার বড় ভাইয়ের সন্তান শেরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম মিল্টন মাস্টার, মোঃ মাসুদ রানা শিহাব ও মোঃ রেজাউর রহমান সেলিম এর নেতৃত্বে যোগ সাজেসে ভাড়া করা সন্ত্রাসীসহ সবাই মিলে আমাকে, আমার ছেলেমেয়ে এবং আমার স্ত্রীর উপর হামলা চালিয়ে মারপিট করে।
এরপর আমার ছোট মেয়ে ৯৯৯ এ ফোন করলে শেরপুর সদর থানার এস আই মাহমুদ ঘটনাস্থলে এসে আমাদের উদ্ধার করে। এরপর একই দিনে মাসুদ রানা শিহাব ষড়যন্ত্র করে তার বোন শারমিনের মাথা কেটে সদর হাসপাতালে ভর্তি করায় এবং অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে ৩২৬ ধারায় সার্টিফিকেট উঠিয়ে ৩২৬ এ আমাদের নামে মামলা দায়ের করে। যাহা বানোয়াট এবং সম্পূর্ণ মিথ্যা।
আমার ছেলে বঙ্গবন্ধু শেখ ফজিলাতুন্নেছা ফিসারিজ ইউনিভার্সিটিতে ২য় বর্ষের ছাত্র। আমার বড় মেয়ে সিলেট এম.সি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে, ছোট মেয়ে শেরপুর সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেণির ছাত্রী। আমি শেরপুর পৌরসভার ইউজিপ ৩ প্রকল্পের উপসহকারী প্রকৌশলী হিসাবে কর্মরত আছি। আমার স্ত্রী একজন গৃহিনী। আমার বড় ভাইয়ের ছেলে শেরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম মিল্টন মাস্টারের মিথ্যা মামলায় আমাদের সাজানো সংসার নষ্ট হচ্ছে। সেই সাথে আমার সন্তানদের ভবিষ্যত হুমকির মুখে । আমি এবং আমার পরিবার এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চাই।
এব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক রফিকুল ইসলামের ব্ক্তব্য চাওয়া হলে তিনি জানান, প্রায় ত্রিশ চল্লিশ বছর যাবত উল্লেখিত জমিগুলো আমাদের ভোগ দখলে, বেশি কিছু গাছও লাগানো হয়েছে সেই জমিতে । এই সবগুলো জমিই আমাদের উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া । অথচ তিনি আমার অংশের জমি তার স্ত্রীর নামে লিখে দিয়েছেন। যদি প্রমাণিত হয় সেই জমি আমার না তবে যেকোন বিচার মাথা পেতে নিবো। এইসব আসলে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অন্য কিছু না ।