শেরপুরের শ্রীবরদীতে ধর্ষণে তৃতীয় শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্রী (১২) ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার চাঞ্চল্যকর মামলায় প্রধান আসামি প্রতিবেশী জ্যাঠা আব্দুল হাকিম ওরফে ভূষি (৫০)কে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টম্বর) দুপুরে ভুষি স্বেচ্ছায় শ্রীবরদীর জি,আর আমলী আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে উভয় পক্ষের শুনানী শেষে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুল ইসলাম খান জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে জেলা কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। ভুষি উপজেলা সদরের পুরান শ্রীবরদী গ্রামের মৃত সাধু মিয়ার ছেলে ও ৩ সন্তানের জনক।
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার বিশ্বাস ধর্ষণে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বার মামলায় প্রধান আসামি আব্দুল হাকিম ভুষিকে কারাগারে পাঠানোর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলার পর থেকেই তাকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছিল। এরই মধ্যে সে গ্রেফতার এড়াতে মঙ্গলবার আদালতে আত্মসমর্থন করে। তবে ডিএনএ টেস্টসহ সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ রিমা-ের আবেদন করা হবে। তিনি আরও বলেন, মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, শ্রীবরদী উপজেলার পুরান শ্রীবরদী এলাকার আব্দুল হাকিম ভুষি প্রায় ৫ মাস আগে স্থানীয় প্রতিবেশি হতদরিদ্র পরিবারের কিশোরী ও পার্শ্ববর্তী নয়ানি শ্রীবরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ফুঁসলিয়ে নিজ ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। এতে সে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি প্রকাশ পায়। পরে ওই ঘটনায় গত ১১ সেপ্টেম্বর ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ৩জনকে স্ব-নামে ও অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামি করে শ্রীবরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।