শেরপুরের শ্রীবরদীতে কোভিট-১৯ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে লকডাউন বাস্তবায়নে ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। বুধবার রাতে উপজেলা পরিষদের সিএ কামরুজ্জামান বাদী হয়ে শ্রীবরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে এজহার নামীয় ২ আসামীকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলো- বারার চর গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে শহিদ মিয়া ওরফে শহিদুর রহমান (৪০) ও মৃত আ: রেজ্জাকের ছেলে মিজানুর রহমান (৩০)।
জানা যায়, বুধবার দুপুরে (৪ আগস্ট) সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক চলমান লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস.এম আল আমিন ও সানাউল মোর্শেদের নেতৃত্বে উপজেলার ঝগড়ারচর বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে বিধি অনুযায়ী কয়েকটি দোকানে জরিমানা আদায় করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় স্থানীয় ব্যবসয়ীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ভ্রাম্যামাণ আদালতের উপর হামলা চালায়। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিজিবি ৩৯ ব্যাটেলিয়ান ময়মনসিংহের সদস্য রুবেল খন্দকার (৩৫) ও সবুজ (২০) এবং শ্রীবরদী থানার এএসআই আজহারুল হক (৩৬) ও কনস্টেবল জান্নাত (২৫) আহত হয়। আহতরা শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। পরে বুধবার রাতে উপজেলা পরিষদের সিএ কামরুজ্জামান বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাঁধা প্রদান, সরকারি কর্মকর্তাদের উপর হামলা ও গাড়ি ভাংচুরের অভিযোগে ২১ জনের নাম উল্লেখ ও ১০০-১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে শ্রীবরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে এজহার নামীয় ২ আসামীকে আটক করে।
এ ব্যাপারে শ্রীবরদীর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতে হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২ জনকে আটক করেছে। বাকী আসামীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।