করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বৃহস্পতিবার থেকে ৭ দিনের শাটডাউন বাস্তবায়নে মাঠে থাকছে সেনাবাহিনী। সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে এ সময় সারা দেশেই টহল দেবেন সেনা সদস্যরা।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বুধবার জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ কথা বলা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘আর্মি ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ বিধানের আওতায় মাঠ পর্যায়ে কার্যকর টহল নিশ্চিত করতে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ প্রয়োজনীয় সংখ্যক সেনা মোতায়ন করবে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্থানীয় সেনা কমান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।
সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, শাটডাউনে জরুরি পরিষেবা ছাড়া বন্ধ থাকবে সরকারি-বেসরকারি সব অফিস। সড়ক, রেল, নৌ, আকাশপথে সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকবে শপিংমল-দোকানপাট। বাড়ির বাইরে অকারণে বের হলে শাস্তির মুখে পড়তে হবে।
সরকারের এ বিধিনিষেধ সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করতেই স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে টহলে দেবে সেনাবাহিনী।
সেনা সদস্যের পাশাপাশি মাঠে থাকবে বিজিবি, পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্যরাও।
কারা কীভাবে টহল কাজ করবে তার দায়িত্ব জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের ওপর থাকবে।
এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জেলা ম্যজিস্ট্রেট জেলা পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে সমন্বয় সভা করে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র্যাব ও আনসার নিয়োগ ও টহলের অধিক্ষেত্র, পদ্ধতি ও সমন্বয় নির্ধারণ করবেন।
সেই সঙ্গে স্থানীয়ভাবে বিশেষ কোনো কার্যক্রমের প্রয়োজন হলে সে বিষয়েও পদক্ষেপ নেবে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।
২০২০ সালের মার্চ থেকে শুরু হওয়া ‘অঘোষিত লকডাউন’ বাস্তবায়নেও সেনাবাহিনীকে ঢাকাসহ সারা দেশে টহলের ভূমিকায় দেখা গেছে। ওই সময় লকডাউন বাস্তবায়নে নগরীর বিভিন্ন অলিগলিতে টহল দেয়ার পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়াতে মাইকিং করতে দেখা যায় সেনাবাহিনীকে।
এ ছাড়া ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানেও ভূমিকা রেখেছে বাহিনীটি। পরে করোনা সংক্রমণ কমে এলে সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করে নেয় সরকার।