সংকটাপন্ন ও জটিল রোগীদের জন্য জামালপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) বিভাগ চালু করা হলেও সেবা মিলছে না। ৬ বছর আগে আইসিইউ বিভাগটি বেশ ঘটা করে উদ্বোধন করা হলেও এর কার্যক্রমই শুরু হয়নি। কার্যক্রম তবে আছে কাগজে-কলমে। ফলে আইসিইউ সেবা নিতে রোগীদের ময়মনসিংহ ও ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে যেতে হচ্ছে। হাসপাতালের সূত্রে জানা যায়, জামালপুর জেলা সদর হাসপাতালের পুরোনো ভবনের তৃতীয় তলার একটি রুমে ২০১৫ সালের ৩১ জানুয়ারি তৎকালীন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এমপি ৪টি বেড বিশিষ্ট আইসিইউ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন হলেও গত ৬ বছরেও সেই আইসিইউ এর ব্যবহার এখন পর্যন্ত হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একটি আইসিইউ মেশিন বসাতে যে পরিমাণ জায়গার প্রয়োজন হয় তা পর্যাপ্ত নেই। তারপরও তড়িঘড়ি করে সেখানে আইসিইউ মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। হাসপাতালে গিয়ে আইসিইউ রুমটি তালাবদ্ধ দেখা যায়। ভেতরে দেখা যায়- ৪টি শয্যা, লাইফ সাপোর্টের ভেন্টিলেটর, মনিটরসহ আইসিইউয়ের আধুনিক সব যন্ত্রপাতি পড়ে আছে। মাকড়সা বাসা বেঁধেছে অনেক স্থানেই। এভাবেই চলছে জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল।
চোখ-নাক-কান-গলার বিভিন্ন রোগের অপারেশনসহ ক্ষেত্রবিশেষ অনেক জটিল অস্ত্রোপচার করা হয়ে থাকে এ হাসপাতালে। কোনো কোনো রোগীর অপারেশনের পর আইসিইউ সেবা প্রয়োজন হয়। জেলার সাত উপজেলা ও কুড়িগ্রামের দুই উপজেলার অন্তত ৩০ লাখ মানুষের চিকিৎসার ভরসাস্থল এ হাসপাতালটি। প্রতিদিন রোগীরা এই ইউনিটের সেবা নিতে এলে তাদের রেফার্ড করে পাঠানো হয় ময়মনসিংহ কিংবা ঢাকা মেডিকেলে। গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন অনেকেই।
হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান জানান, উদ্বোধনের পর থেকে আইসিইউ চালু করা যাচ্ছে না। তবে বিষয়টি আমরা স্বাস্থ্য বিভাগকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি। আশা করছি খুব শিগগিরই আইসিইউটি চালু করা যাবে।
#যুগান্তর