আসছে ঈদুল আযহার দ্বিতীয় দিন মাঠে গড়াচ্ছে লিজেন্ডস কাপ ক্রিকেট টুর্নােেমন্ট ২০২১ এর প্রথম আসর। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। বর্ণিল এই আয়োজন উপলক্ষে বেশ উৎসাহ উদ্দীপনা বেড়েছে ঝিনাইগাতীর ক্রিড়াঙ্গনে। ‘‘মোবাইল ছেড়ে মাঠে চল, মাঠের খেলায় বাড়ে বল’’এই স্লোগানে সাবেক ক্রিকেটারদের নিয়ে ঈদুল আযহার দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন (দুই দিন ব্যাপী) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই টুর্নামেন্ট। ইতোমধ্যে ৬০জন খেলোয়াড় নিয়ে ঝিনাইগাতী উপজেলার ইতিহাস-ঐতিহ্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ৪ টি দলের নাম ও খেলোয়ারদের বন্টনের জন্য র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বিকেলে ঝিনাইগাতী উপজেলা পাঞ্জেরী মডেল স্কুলে আয়োজিত এক মনবিনিময় সভায় খেলোয়ড়দের নিয়ে র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়। র্যাফেল ড্রতে ৬০জন খেলোয়ারদের মধ্যে কোন দল কোন খেলোয়াড় নিয়ে খেলবে, এ বিষয়ে চূড়ান্ত হয়েছে বলেও জানিয়েছেন আয়োজক কমিটি। প্রতি দলের অধিনায়ক, সহ-অধিনায়কসহ সংশিষ্ট সকলের উপস্থিতে র্যাফেল ড্র এর মাধ্যমে ৪ টি দলে ১৫ জন করে খেলোয়াড় বন্টন করা হয়েছে বলে প্রেস রিলিজে জানানো হয়েছে। লিজেন্ডস কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট-২০২১ এর পরিচালনা কমিটির আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন পাঠানের সভাপতিত্বে র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন ঝিনাইগাতী উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক মো: আবু তাহের।
চূড়ান্ত হওয়া দলগুলো হলো লিজেন্ডস অব গজনী অবকাশ (অধিনায়কঃ মোঃ মনির হোসেন), লিজেন্ডস অব সীমান্ত ( অধিনায়কঃ মোঃ মেজবা উদ্দিন তুহিন), লিজেন্ডস অব মহারশী (অধিনায়কঃ মোঃ ফারুক আহম্মেদ ফারুক) এবং লিজেন্ডস অব সোমেশ্বরী (অধিনায়কঃ মোঃ আবু নাসের আরজু)। অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী ৬০ জন সাবেক ক্রিকেটারকে ব্যটিং বোলিং, ব্যাটসম্যান ও অলরাউন্ডার এই চারটি ক্যাটাগরীতে ভাগ করা হয়েছে।
আয়োজন সম্পর্কে পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মো: সাখাওয়াত হোসেন পাঠান শেরপুর টাইমসকে বলেন, সবুজে ঘেরা ঝিনাইগাতী উপজেলায় আশি এবং নব্বই এর দশকে ক্রিকেট এর একটি ঐতিহ্য ছিলো। থানা রোড স্পোর্টিং ক্লাব, উপজেলা ক্রিকেট একাদশ, নিউ স্টার ক্রিকেট ক্লাব, শালচূড়া স্পোর্টিং ক্লাব, মোল্লাপাড়া ক্রিকেট ক্লাব, খৈলকুড়া ক্রিকেট একাদশ, মরিয়ম নগর চাসং গিত্তালনী ক্রিকেট ক্লাব সহ আরও অনেক নামকরা ক্রিকেট ক্লাবগুলোর পদচারণা এ উপজেলার ক্রিকেটের প্রাণ ছিলো। মানুষ জন ক্রিকেট মাঠমুখী ছিলো। বছরের প্রায় পুরোটা সময় জুড়ে ঝিনাইগাতী স্টেডিয়াম মাঠে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চলতো। কিন্তু স্মার্টফোনের এই যুগে ছেলেরা আজ অনেকটাই ঘরমুখো। মাঠের ক্রিকেট আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে। সেই পথ থেকে উত্তরণের জন্য “মোবাইল ছেড়ে মাঠে চল, মাঠের খেলায় বাড়ে বল”এই স্লোগানে বর্তমান প্রজন্ম কে আবারো মাঠের খেলায় উদ্বুদ্ধ করাই আমাদের আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য।