শেরপুরেরর নালিতাবাড়ী উপজেলায় পৃথক ঘটনায় এক কৃষক ও গৃহবধূ খুন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত কৃষকের নাম আবদুল খালেক (৪০)। সে উপজেলার উত্তর কাকরকান্দি গ্রামের মোকবুল হোসেনের ছেলে। নিহত গূহবধূও হলেন দুলালী বেগম (২০) সে উপজেলার বেলতৈল গ্রামের মৃত সুরুজ আলীর মেয়ে।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) সকালে এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের হয়েছে।
পুলিশ, নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার উত্তর কাকরকান্দি গ্রামের মকবুল হোসেনের বড় ছেলে আবদুল মুন্নাফের (৪৫) হাতে ছোট ভাই আব্দুল খালেক (৪০) খুন হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার বিকেলে বড় ভাই আব্দুল মুন্নাফের সাথে ছোট ভাই আব্দুল খালেকের একটি কাঠ গাছ কাটা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বড় ভাই মুন্নাফ কোদাল দিয়ে ছোট ভাই খালেককে মাথায় আঘাত কওে এতে সে গুরুতর আহত হয়। পরে পরিবারের অন্যান্য লোকজন খালেক কে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়, বুধবার রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছোট ভাই খালেক মারা যান।
এদিকে, দুই বছর আগে নালিতাবাড়ী পৌর শহরের ছিটপাড়া মহল্লার নাজীর উদ্দিন এর ছেলে হাবিল বাদশার (২২) সাথে উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের মৃত. সুরুজ আলীর মেয়ে দুলালী বেগমের (২০) বিয়ে হয়। স্বামী ও স্ত্রী কাজের জন্য ঢাকায় খিলখেত এলাকায় বসবাস করতেন। ঢাকায় স্বামী হাবিল রিকশা চালাতেন এবং স্ত্রী দুলালী একটি বাসায় ঝিয়ের কাজ করতেন। কিন্তু বিয়ের কিছু দিন পর থেকে হাবিল বাদশা ব্যাটারি চালিত একটি অটো রিকশা কিনে দেওয়ার জন্য স্ত্রী দুলালী ও তার পরিবারের নিকট যৌতুক দাবি কওে চাপ দিয়ে আসছিল।
হাবিল কে ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা কিনে না দেওয়ার বুধবার রাতে হাবিল ঢাকার ভাড়া বাসায় স্ত্রী দুলালীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা কওে তার গ্রামের বাড়ীতে লাশ নিয়ে আসলে নিহতের আতœীয় স্বজন হাবিলকে আটক করে পুলিশ কে খবর দেয়,পওে বেলতৈল এলাকা থেকে স্বামী হাবিল বাদশাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঢাকার খিলক্ষেত থানায় এ ব্যাপাওে নিহতের মামা লাল মিয়া একটি হত্যা মামলা দায়ের করবে বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফসিহুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা ও একটি ইউডি মামলা হয়েছে, আটক ব্যক্তিকে শেরপুর আদালতে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে বলেও ওসি জানান। একটি ঘটনা ঢাকায় হওয়ায় ঢাকার খিলখেত থানায় হত্যা মামলা হবে বলে ওসি জানান।