‘আপনারা দয়া করে কেউ রাস্তার উপর পাঁকা ধান রাখবেন না, মাড়াই করবেন না, ধানের খড় শুকানোর জন্য জড়ো করে রাখবেন না’ এমনভাবেই সচেতনা করছেন শেরপুরের ঝিনাইগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান। শনিবার (১ মার্চ) রাতে ‘ঝিানইগাতী থানা, শেরপুর’ নামে অফিসিয়াল ফেসবুক আইডি থেকে এমন সতর্কবার্তা পোস্ট করেন তিনি। তিনি বলেন, পাঁকা ধান মাড়াইয়ের সময় ইতোমধ্যে বড় একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এটা যানবাহনসহ মোটরসাইকেলের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। যদি কেউ এমন কাজ অব্যাহত থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এতে ওই পোস্টের নিচে অনেকেই কমেন্ট করছেন। সিনিয়র সাংবাদিক প্রথম আলো শেরপুর জেলা প্রতিনিধি দেবাশীষ সাহা রায় কমেন্টে লিখেছেন, ‘সময়োপযোগী নির্দেশনা। এটা এলাকাবাসীকে মানতেই হবে। নইলে দুর্ঘটনার জন্য সংশ্লিষ্টদের দায়ী করতে হবে।’ সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম লিখেছেন, ‘আমি নিজে কিছুদিন আগে বাগেরভিটা থেকে মোটরসাইকেলে আসার পথে রাস্তার উপর ছড়ানো খড়ে স্লিপ করে বড় দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলাম।’
এম এ হামিদ নামে একজন লিখেছেন, ‘স্যার ভালো একটা দিক তুলে ধরছেন। আমি গত কয়েক দিন আগে দেখলাম তেঁতুলতলা বাজার থেকে ঝিনাইগাতী বাজার পর্যন্ত রাস্তায় ধান রাখায় রাস্তার দুর্ঘটনার ঝুঁকি খুব বেশি। এটার দ্রæত একটা সমাধানে আসা উচিত।’ মো. আতিকুল ইসলাম আতিক লিখেছেন, ‘আমি অফিসারের পোস্ট দেওয়ার সহমত পোষণ করি, যে কারণ আমাদের ছোট্ট একটি ভুলের কারণে হয়ে যেতে পারে বড় দুর্ঘটনা।’
এ ব্যাপারে কথা হয় ঝিনাইগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান সাথে। তিনি শেরপুর টাইমসকে বলেন, ‘আপনারা জানেন, পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ। পুলিশ-জনতা একত্রিত হয়ে দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছি আমরা। পুলিশের কাছে গিয়ে সাধারণ কোন মানুষ যেনো কষ্ট না পায় বা হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার না হয় এজন্য আমরা জনগণের সাথে মিশে চেষ্টা করছি। পুলিশ ভাল কাজ করলে জনগণের সাথে সেতু বন্ধন তৈরি হবে। আর পুলিশ-জনগণ দূরত্ব কমে আসবে।
তিনি আরও বলেন, বোরোর মৌসুম চলছে। কৃষকরা পাঁকা ধান কেটে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ঝিনাইগাতী উপজেলা কিছু কিছু কৃষক রাস্তায় পাঁকা ধান রাখছেন আবার সেখানেই মাড়াই করছেন। এতে মোটরসাইকেলসহ ছোট ছোট যানবাহন দূর্ঘটনা তৈরি হচ্ছে। তাই ফেসবুকের মাধ্যমে সতর্ক করে দিচ্ছি। পরবর্তীতে মাইকিং করবো। যাতে কৃষকরা সহজেই বুঝতে পারে যে এটা অন্যায়।’