শেরপুরে এক পাগলা কুকুরের কামড়ে নারী ও শিশুসহ ২৩ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) সকালে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টা থেকে দুপুর পর্যন্ত সদর উপজেলার কুসুমহাটি এলাকা থেকে শুরু করে শহরের পূর্বশেরী, পশ্চিমশেরী ও কসবা মহল্লায় ওই পাগলা কুকুরটি পথচারী যাকে পেয়েছে তাকেই কামড়ে দিয়েছে। কুকুরটি কারও পায়ে, কারো হাতে, পেটে, পিঠে যাকে যেভাবে পেয়েছে কামড়িয়েছে। এরপর এলাকাবাসী ধাওয়া করলে পাগলা কুকুরটি পালিয়ে যায়।
শেরপুর পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কসবা ভাটিপাড়া মহল্লার বাসিন্দা মো. জব্বার আলী বলেন, আমার ছোট মেয়েটা তার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফেরার পথে হঠাৎ ওই পাগলা কুকুরের সামনে পড়ে যায়। এরপর কুকুরটি তার পা-হাতসহ বিভিন্ন জায়গায় কামড়ে দিয়ে মারাত্মক আহত ও রক্তাক্ত করে। মেয়েটার চিৎকারে আমরা ক’জন লাঠিসোটা নিয়ে এগিয়ে গেলে কুকুরটি আমাদেরও কামড়াতে আসে। এ পর্যন্ত কুকুরটি এলাকার বেশ কয়েকজনকে কামড়িয়েছে। তারা সবাই জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. খাইরুল কবির সুমন জানান, পাগলা কুকুরের কামড়ে এ পর্যন্ত ২৩ জনকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসাসহ জলাতঙ্ক টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে আরও তিন ডোজ টিকা নিতে হবে।
শেরপুর পৌরসভার মেয়র গোলাম কিবরিয়া লিটন বলেন, স¤প্রতি শহরে কুকুরের অত্যাচার বেড়ে গেছে। কিন্ত আইনি বাধার কারণে কুকুর নিধন করা যাচ্ছে না। পাগলা কুকুরটিকে ধরতে ইতিমধ্যেই পৌরসভার কনজারভেনসি শাখাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৯ এপ্রিল নকলা উপজেলায় অন্তত ১৫ জনকে একটি পাগলা কুকুর কামড়ে আহত করেছিল।