সাংবাদিক আব্দুর রেজ্জাক ১৯৩৬ সালের ২ মার্চ শেরপুর সদর উপজেলার পাকুরিয়া ইউনিয়নের খামারপাড়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। বাবা- বন্দে আলী, মা- আদুরী বেগম। স্ত্রী- জাহানারা রেজ্জাক ও একমাত্র সন্তান কাকন রেজা, পেশায় সাংবাদিক। জাহানারা রেজ্জাক ১৯৮৯ সালে জাতীয়তাবাদী শেরপুর মহিলা দলের সভানেত্রী ছিলেন।
আব্দুর রেজ্জাক ১৯৫৪ সালে জি কে পি এম স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন। পরে ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজ, জামালপুর আশেক মাহমুদ কলেজ এবং শেরপুর সরকারী কলেজে অধ্যয়ন করেন।
শিক্ষা জীবন শেষে “রেজ্জাক ষ্টোর” নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করেন। তিনি ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট, ১৯৬৯ সালে গণ-অভ্যুত্থান এবং ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি শেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতিরও (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্ব পালন করেন ।
আব্দুর রেজ্জাকের সাংবাদিকতা জীবন শুরু ১৯৭৯ সালে দৈনিক কৃষাণ পত্রিকার মাধ্যমে। এরপর ১৯৮৬ সালের জুন মাস থেকে তিনি শেরপুর জেলার প্রথম সংবাদপত্র “সাপ্তাহিক শেরপুর” সম্পাদনা করে আসছিলেন। এ পত্রিকা প্রকাশ করার প্রেরণা জুগিয়েছিলেন সাবেক মন্ত্রী, কলামিষ্ট মরহুম খোন্দকার আব্দুল হামিদ। ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট থেকে আঞ্চলিক সংবাদপত্রের যে ১৩ জন সম্পাদক প্রশিক্ষণ নিয়ে ছিলেন তাদের মধ্যে তিনি অন্যতম।
আব্দুর রেজ্জাক একাধারে সাংবাদিক, কবি ও উপন্যাসিক। তার প্রথম উপন্যাস “চলার পথে”। এরপর প্রকাশিত হয় “বড় একা একা লাগে” ও “শেষ দেখা” নামে আরো দুটি উপন্যাস।
তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ “আমাকে বলতে দাও” ও “প্রতিদিনের শব্দ”। তিনি ২০০৫ সালে ভাষা সৈনিক হিসেবে রাষ্ট্রীয় সম্মানে ভূষিত হন। তিনি ২০১৫ সালের ১৭ নভেম্বর ইন্তেকাল করেন ।
শেরপুর টাইমস/বা.স