শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার চেল্লাখালী নদীর ওপর নির্মিত রাবার ড্যামের উজানে হাইড্রোলিক স্ট্রাকচারের ওপর ৫ কিউসেক ক্ষমতাসম্পন্ন পরীক্ষামূলক সোলার ইরিগেশন পাম্পিং সিস্টেম চালু করা হয়েছে। এটিকে ঘিরে কৃষিতে নতুন সম্ভাবনার স্বপ্ন দেখছেন স্থানীয় কৃষকরা।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) সূত্রে জানা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তনে কৃষি পণ্য উৎপাদনে ঝুঁকি মোকাবিলায় বিএডিসি ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে চেল্লাখালী রাবার ড্যাম নির্মাণ করেছে। তারই উজানে চেল্লাখালী নদীর ওপর ১ কোটি ৩৮ লাখ ৫৯ হাজার ১২৪ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে হাইড্রোলিক স্ট্রাকচারের ওপর ৫ কিউসেক ক্ষমতাসম্পন্ন পরীক্ষামূলক সোলার ইরিগেশন পাম্পিং সিস্টেম। এই পাম্পের মাধ্যমে স্থানীয় কৃষকরা পানি নিয়ে তাদের সেচ কাজ করছেন। আগামীতে বিদ্যুৎচালিত পাম্প না ব্যবহার করে স্বল্প খরচের সোলারে পাম্প চালিয়ে কৃষকদের সেচ কাজ করতে সহজ হবে।
এ বিষয়ে স্থানীয় কৃষক মোহাম্মদ আলী বলেন, চেল্লাখালী রাবার ড্যামে নির্মিত সোলার প্ল্যান্ট আমাদের কৃষিতে নতুন সম্ভাবনা যোগ করবে। পাম্প ও বিদ্যুৎ নিয়ে সব সময় ঝামেলা পোহাতে হতো।এটি চালু হওয়ায় আমাদের আর সেই সমস্যা থাকবে না।
স্থানীয় আরেকজন কৃষক মনসুর মিয়া বলেন, শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার চেল্লাখালী নদীর ওপর নির্মিত রাবার ড্যামে সোলার প্ল্যান্ট হওয়াতে কৃষিতে আমাদের খরচ অর্ধেকে নেমে গেছে। আগে যেখানে প্রতি একর জমিতে খরচ হতো ৬-৭ হাজার টাকা, এখন আমরা এই সোলার প্ল্যান্টের সেচের মাধ্যমে তা ৩-৪ হাজার টাকার মধ্যে করতে পারছি।
পরীক্ষামূলক এই প্রকল্পের পাম্প হাউসের দায়িত্বে থাকা মন্টু মিয়া বলেন, সোলার পাম্প টানা ৬ ঘণ্টা চালানো যায়। এটা যদি ১০ ঘণ্টা চালানো যায় তাহলে আরও বেশি সুবিধা পাওয়া যাবে।
বিএডিসির নির্বাহী প্রকৌশলী (জামালপুর রিজিয়ন) আবু আহম্মেদ মাহমুদুল হাসান বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় সোলার পাম্প ও রাবার ড্যামের জমাকৃত ভূ-উপরস্থ পানিতে এ এলাকার হাজারো কৃষক সেচ সুবিধা পাবেন।