শেরপুরের পৌর এলাকার মোবারকপুরের প্রতিবন্ধী শিশু অনিক মিয়া (১০)। হাত পা থেকেও নেই। দাঁড়াতে কিংবা বসতেও পারে না অনিক। জন্মের পর থেকে তার হাত পা বাঁকা। কানে কিছুটা শুনলেও কথা বলতেই পারে না । শুধু ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে। ১০ বছর ধরে এমন কষ্টের জীবন কাটছে তার।
অনিকের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ময়লা মাখা কাপড়ে মাটিতে পলিথিন কাগজে (বস্তার চটে) শুয়ে আছে। তার পাশে ছোট বোন আশামণি খেলাধুলা করছে।
তার বাবার নাম আনোয়া হোসেন। একসময় অনেক চিকিৎসাও করিয়েছে ছেলেকে। কিন্তু কোন সুফল পায়নি। দারিদ্র্যরতার কারণে ছেলেকে একটা হুইল চেয়ার কিনে দেওয়ার মত সামর্থ্য নেই তার। ১০ বছর ধরে এভাবে থাকলেও অনিকের ভাগ্যে জোটেনি একটি হুইল চেয়ার।
অনিকের বাবা আনোয়ার মিয়া একজন শ্রমিক। থাকেন অন্যের বাড়িতে, নিজের জমিজমা নেই। অভাবের সংসার তাদের। সেখানেই প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে থাকেন তারা।
অনিকের মা বলেন, আমরা গরিব মানুষ, থাকিও মাইনষের বাইত। হুইল চেয়ার কিনুম ক্যামনে। এডা হুইল চেয়ার হলে ছেলেটা স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারত।
প্রতিবেশী জিয়া সরকার শেরপুর টাইমসকে জানান, অনিক তিন সন্তানের মধ্যে বড়। তারা আমাদের পাশ্বের বাড়িতে থাকে। ওর একটা হুইল চেয়ার দরকার।
সেলিমের বাবা আনোয়ার মিয়া বলেন, আমার নিজের কোনো জমিজমা নেই। অন্যের কাজ করে সংসার চলে। ছেলেকে এভাবে দেখতে খুব কষ্ট লাগে। সমাজের বিত্তবান মানুষের কাছে ছেলের জন্য তিনি একটা হুইল চেয়ার চেয়েছেন।