প্রাথমিক শিক্ষায় অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জনের পরেও দারিদ্রতা, অনগ্রসরতা, শিশুশ্রম, ভৌগলিক প্রতিবন্ধকতাসহ বিভিন্ন কারণে এখনও অনেক শিশু বিদ্যালয়ের বাইরে রয়েছে। বর্তমানে দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ার হার ১৮ দশমিক ৮ শতাংশ এবং বিদ্যালয়ে ভর্তি না হওয়ার হার প্রায় ২ শতাংশ।
তাই সারাদেশে প্রাথমিক পর্যায়ে ৮ থেকে ১৪ বছর বয়সী ১০ লাখ বিদ্যালয় বহির্ভূত শিক্ষার্থীদের আগামী তিন বছরে শিখন কেন্দ্রে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রদান করে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার উপযোগী করে তৈরি করা হবে।
আর এই ধারাবাহিকতায় শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় ৭০টি শিখন কেন্দ্রে ৪ হাজার ২০০ জন শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে।
বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) দুপুরে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে ‘আউট অব স্কুল চিলড্রেন শনাক্তকরণ কার্যক্রমের উপজেলা পর্যায়ের এক অবহিতকরণ সভায় এ তথ্য জানানো হয়। বাস্তবায়নকারী সংস্থা ‘প্রত্যয়’ আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউএনও রুবেল মাহমুদ।
এতে বক্তব্য দেন উপজেলা চেয়ারম্যান এসএমএ ওয়ারেজ নাইম, জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক সৈয়দ মোক্তার হোসেন, বাস্তবায়নকারী সংস্থা ‘প্রত্যয়’-এর নির্বাহী পরিচালক রেবেকা ইয়াসমিন রেবা, জেলা সমন্বয়ক মাফুজার রহমান, উপজেলা সমন্বয়ক সায়েদুর রহমান, গণমাধ্যমকর্মী জাহিদুল হক মনির প্রমুখ।