শেরপুরের নালিতাবাড়ী সীমান্তের রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের কালাকুমা গ্রামের ফসলি জমির মাটির নিচ থেকে উদ্ধার হওয়া মর্টারশেলটি বুধবার (১০ মার্চ) বিকেলে নিস্ক্রিয় করা হয়েছে।
মর্টারশেলটি নিস্ক্রিয় করেন টাঙ্গাইলের ঘাটাইল সেনানিবাসের মেজর নাহিদ শারমিনের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ বোম্ব ডিসপোজাল দল। বিকেল চারটা চলিশ মিনিটে মাটির নিচে রেখে এক্সক্লুসিভ দিয়ে বোমটি সচল করা হয়। পরে এটিকে তারের সাহায্যে নিস্ক্রিয় করা হয়। এসময় মর্টারশেলটির বিস্ফোরনের শব্দে আশ-পাশের এলাকা কেঁপে উঠে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নালিতাবাড়ী থানার ওসি বছির আহমেদ বাদল জানান, ১৯৬৭ সালে বোমাটি তৈরি করা হয়েছিল। এটি ১২০ এম এম উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি এক্সক্লুসিভ বোমা। সম্ভবত পাক-ভারত যুদ্ধের সময় অথবা মুক্তিযুদ্ধে পাকবাহিনী বোমাটি এ অঞ্চলে ফেলে রেখেছিল। কিন্তু বোমাটি অবিস্ফোরিত থেকে যায়।
কালাকুমা গ্রামের বাসিন্দা সোলেমান, হাসমত ও রবিউল জানান, গত কয়েকদিন আগে স্থানীয় এক ব্যক্তি ভোগাই নদী থেকে নুড়ি পাথর ও বালু তোলার সময় মর্টারশেলটি পান। পরে এটিকে দামী কিছু ভেবে বাড়ীতে নিয়ে আসেন। একসময় বুঝতে পারেন এটি একটি বোমা। পরে তিনি ভয়ে আতঙ্কে সেটিকে এলাকার আতর আলীর জমিতে পুঁতে রাখেন। বিষয়টি জানাজানি হলে বিজিবির মাধ্যমে পুলিশ খবর পায়। নালিতাবাড়ী থানার পুলিশ মঙ্গলবার বিকেলে বোমাটি উদ্ধার করে এবং নিরাপত্তার স্বার্থে ওই এলাকাটির চারপাশে ঘিরে রাখে।
বোমা নিস্ক্রিয় অভিযানে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ছাড়াও স্থানীয় বিজিবি কর্মকর্তা, নালিতাবাড়ী সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আফরোজা নাজনীন, ওসি বছির আহমেদ বাদলসহ পুলিশের কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।