শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার সরকারী পাহাড়ী বনাঞ্চল ঘিরে ১ হাজার হেক্টর জমি নিয়ে রাংটিয়া, গজনী ও তাওয়াকুচা মৌজায় হতে যাচ্ছে ন্যাশনাল পার্ক। বনবিভাগ শীঘ্রই এই প্রকল্পের কাজ শুরু করবে বলে জানা যায়। গত ২৯ ডিসেম্বর/২০১৬ ইং তারিখে ঝিনাইগাতীর রাংটিয়া রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি ইতিপূর্বে ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলায় কর্মরত ছিলেন।
তিনি রাংটিয়া রেঞ্জে যোগদানের পর থেকে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার শেরপুরের ঝিনাইগাতী গারো পাহাড়ের সরকারী বনাঞ্চলের গজনীতে মনোরম দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্যে ন্যাশনাল পার্ক নির্মাণের প্রস্তাব পাঠান বনবিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট। তার প্রস্তাব অনুযায়ী বনবিভাগ কয়েক দফায় সরেজমিনে পরিদর্শন করে ন্যাশনাল পার্ক নির্মাণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন। অপরদিকে রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন রাংটিয়া রেঞ্জে যোগদানের পর থেকে বনাঞ্চলের সরকারী জমি বে-দখল, গাছ চুরিসহ অবৈধভাবে পাথর ও বালু উত্তোলন বন্ধের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে আসছেন বলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে।
এছাড়া সরকারী নিয়মানুযায়ী বাগানের অংশীদার নিয়োগ, অংশীদারদের সাথে বন রক্ষার জন্য নিয়মিত আলোচনা সভা চালিয়ে যাচ্ছেন। রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন তার কর্মস্থলের অধীনে ৮ হাজার ৭শ ৭৯ একর বনভূমির বনাঞ্চল ও বনজ সম্পদ রক্ষা করে চলছেন।
রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, তার অধীনস্থ ৩টি বিট কর্মকর্তা ও বন রক্ষীদের নিয়ে প্রতি রাতেই সরকারী বনাঞ্চল রক্ষায় দায়িত্ব পালন করে আসছেন। জনবল সংকট থাকা স্বত্বেও তিনি অনেক সময় একাই বন রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকেন। তিনি আরো বলেন, ঝিনাইগাতীর গজনীতে ন্যাশনাল পার্ক স্থাপন হলে সরকার প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব পাবে।
এই ন্যাশনাল পার্কে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জাতের হারিয়ে যাওয়া ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির পশুপাখি থাকবে। এছাড়াও শিশুদের জন্য চিত্ত বিনোদন, পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় রেস্ট হাউজ, শিক্ষার্থীদের জন্য থাকবে শিক্ষামূলক বিনোদনকেন্দ্রসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় মনোমুগ্ধকর দৃশ্য।