শেরপুরের শ্রীবরদীতে জেইউবি ইটভাটার পাহারাদার সেলিম মিয়া ওরফে বাবু (৩০) হত্যা মামলার তিন আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার রাতে নিহত বাবুর পিতা গোলাপ হোসেন বাদী হয়ে ৫জনকে নামীয় ও অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জনকে আসামী করে শ্রীবরদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে এজাহার নামীয় তিনজনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো পৌরশহরের সাতানী শ্রীবরদীর জালাল উদ্দিনের ছেলে হাফিজুর রহমান (৪০), হারুন অর রশিদ সদা (৩৭) ও জেইউবি ইটভাটার ম্যানেজার ও দক্ষিণ পোড়াগড় গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার ছেলে ইস্রাফিল মিয়া (৩৫)।
জানা যায়, উপজেলার শ্রীবরদী সদর ইউনিয়নের নয়ানী শ্রীবরদী গ্রামের গোলাপ হোসেনের ছেলে সেলিম মিয়া ওরফে বাবু স্থানীয় জেইউবি ইটভাটায় পাহাদার হিসেবে কাজ করতো। গত ২৪ নভেম্বর কাজ শেষে বাড়ি ফেরার কথা বলে ইটভাটা থেকে চলে আসে। এরপর থেকে সে নিখোঁজ হয়।
পরিবারের লোকজন তাকে খোঁেজ না পেয়ে গত ২৭ নভেম্বর থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করে। ২৮ নভেম্বর শনিবার ভোরে ইটভাটার কাছাকাছি শ্রীবরদী- নিলাক্ষিয়া সড়কের পাশে ধান ক্ষেতের ডুবায় তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
এ ব্যাপারে রাতে নিহত বাবুর পিতা গোলাপ হোস্নে ৫ জনের নামে ও আরো অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে আটক করে।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমিন তালুকদার বলেন, হত্যার ঘটনায় নিহত বাবুর পিতা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে এজাহার নামীয় তিনজন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।