শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে মসজিদের ইমাম কর্তৃক আট বছর বয়সী কন্যাশিশু ধর্ষণের চেষ্টা মামলায় চেষ্টাকারী আজিজুল হককে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। একইসঙ্গে শালিসকারী হিসেবে গ্রেফতার ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও মসজিদ কমিটির সদস্যসহ ৫ জনের জামিন দেওয়া হয়েছে।
৯ জুলাই রোববার দুপুরে শেরপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মমিনুন্নেছা খানম এ আদেশ দেন।
সূত্র জানায়, গত ৪ জুলাই মঙ্গলবার ভোরে নালিতাবাড়ী উপজেলার মৌয়াকুড়া গ্রামের মসজিদের ইমাম ও তৎসলংগ্ন মক্তব শিক্ষক আজিজুল হক নির্জনতার সুযোগে একই গ্রামের ৮ বছর বয়সী এক কন্যা শিশুকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এসময় শিশুটির গালে সজোরে কামড়ে দিলে সে চিৎকার করে। এতে ওই লম্পট শিশুটিকে ছেড়ে দেয়। পরদিন বুধবার বিদ্যালয়ের গেলে স্কুল শিক্ষিকা ওই শিশুটির গালে কামড় দেখে কারণ জানতে চাইলে ঘটনা প্রকাশ হয়। এরপর এলাকাবাসী ইমাম আজিজুলকে অবরুদ্ধ করলে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও জনপ্রতিনিধিরা গ্রাম্য শালিসে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে তাকে চাকুরিচ্যুত করেন।
পরবর্তীতে এ ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে পুলিশি পদক্ষেপে শিশুটির মা বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে ৬ জুলাই বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত আজিজুল হক ও গ্রাম্য শালিস করায় সংশ্লিষ্ট নয়াবিল ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুছ আলী দেওয়ান, ইউপি সদস্য শাহজাহান মিয়া ও আজাহার আলী এবং মসজিদ কমিটির সদস্য ফুল মামুদ ও ইসমাইলকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে।
পরে ৯ জুলাই রোববার জামিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে ইউপি চেয়ারম্যানসহ শালিসকারী ৫ জনকে আদালত জামিন প্রদান করেন। অন্যদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে ধর্ষণ চেষ্টায় অভিযুক্ত আজিজুল হককে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।