মহামারী করোনা ভাইরাসে নাকাল পুরো বিশ্ব। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের জেলায় জেলায় চলছে লকডাউন। এতে নিম্ন আয়ের অস্বচ্ছল মানুষেরা হয়ে পড়েছে কর্মহীন। এমতাবস্থায় মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল-ফিতর দরজায় কড়া নাড়ছে। ঈদকে সামনে রেখে চিন্তার যেন শেষ নেই এসব অসহায়, ছিন্নমূল নিম্ন আয়ের মানুষের। করোনা যেন মলিন করে দিয়েছে তাদের ঈদ আনন্দ। এসব আয়-রোজগারহীন মানুষের ঈদের আনন্দ বাড়িয়ে দিতে ঘরে ঘরে ঈদ সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে শেরপুরের ‘শ্রীবরদী লোকাল বয়েজ’ নামে একটি অরাজনৈতিক সামাজিক সংগঠন। প্রতিদিন রাতের আধারে বেশিরভাগ মানুষ যখন ঘুমে ঠিক সেসময় একটি ভ্যানগাড়ীতে লোকাল বয়েজের সদস্যরা এসব ঈদ সামগ্রী কর্মহীনদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন। শুক্রবার (২২ মে) একইভাবে এসব ঈদ সামগ্রী উপজেলার সাতানী শ্রীবরদী, মথুরাদী, সেকদিসহ কয়েকটি গ্রামের অসহায় ও কর্মহীনের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দিয়েছেন।
ঈদ সামগ্রী হাতে পেয়েই সাতানী শ্রীবরদীর বাসিন্দা ঝুমুরী বলেন, এবারের ঈদে বাচ্চাদের মুখে সামান্য সেমাই মুখে তুলে দেয়ার ক্ষমতাও আমাদের ছিলো না। খুব কষ্টে জীবন যাপন করছি। এ অনেক দিন ধরেই ভীষণ চিন্তায় দিন কাটাচ্ছিলাম। হঠাৎই হাতে পেলাম ঈদ সামগ্রী, সত্যিই আমি খুব খুশি হয়েছি। আর কিছু না হোক ঈদে বাচ্চাদের ভালো খাবার দিতে পারবো, ওদের মুখে হাসি ফোটে ওঠবে। এর চাইতে বড় একজন মায়ের আর কি থাকতে পারে। আপনারা দীর্ঘদিন বেঁচে থাকেন দোয়া করি।
সেকদি এলাকার রিক্সাচালক ছাইরদ্দী বলেন, ঈদের আগে আপনারা আমাদের ঈদের দিনের খাবার দিলেন আমরা খুব খুশি। আমরা বাচ্চাদের ভালো কিছু রান্না করে খাওয়াবো, তার কোন উপায় ছিলো না। অবশেষে আপনারা এসে বাড়ি আমাদের খাবার দিলেন আল্লাহ আপনাদের ভালো করবে।
শ্রীবরদী লোকাল বয়েজ’র প্রতিষ্ঠাতা-পরিচালক এজেড রুমান শেরপুর টাইমসকে বলেন, ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার পাশাপাশি সবাইকে সচেতন হতে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে আমরা আহব্বান করছি। এছাড়া ইতোপূর্বেও নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেছি। মানুষের কল্যাণে শ্রীবরদী লোকাল বয়েজ এর এমন মানবিক কার্যক্রম চলমান থাকবে।