আমার ভাঙ্গা তরী ছেড়া পাল,“ চলবে আর কত কাল, ভাবি শুধু একা বসিয়া, রে দয়াল “এভাবে আর চলবে কতকাল সহ নানা ফোক ঘরানার গান গেয়ে দর্শক-শ্রোতাদের মন মাতিয়েছেন শেরপুরের সন্তান দেশের নন্দিত কণ্ঠশিল্পী কিশোর পলাশ। এবার ‘দেহডিঙি’ শিরোনামে নতুন গান নিয়ে হাজির হয়েছেন এই শিল্পী।
‘আমার দেহডিঙির হাড়ের গুড়া/ মন-পাটাতন ভাঙাচুরা/ বাইনে বাইনে চুয়ায় পানি আছড়ে পড়ে দারুণ ঢেউ/ গুরু তুমি বিনে নাইযে আমার কেউ’—এমন কথায় গানটি লিখেছেন দেলোয়ার আরজুদা শরফ। অভি আকাশের সুরে সংগীত আয়োজন করেছেন মুশফিক লিটু। মিউজিক ভিডিওসহ নতুন এ গানটি প্রকাশ করতে যাচ্ছে জি সিরিজ। বিকাশ সাহা পরিচালিত এই ভিডিওতে মডেল হয়েছেন জনপ্রিয় নাট্য অভিনেতা সাব্বির আহমেদ ও পড়শী রুমী।
সুনামগঞ্জের টেকেরঘাট, নীলাদ্রির বিভিন্ন মনোরম লোকেশনে গানটির চিত্রায়ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভিডিও নির্মাতা বিকাশ সাহা। বৃহস্পতিবার জি সিরিজের অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে গানটি।
এ প্রসঙ্গে কিশোর পলাশ শেরপুর টাইমসকে বলেন, ‘করোনা মহামারির আগেই, ঈদ আয়োজনকে ঘিরে গানটি করা হয়েছিল। যেহতেু হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকেও সচল রয়েছে বিনোদনের সবগুলো মাধ্যম, তাই ঘরবন্দি মানুষের জন্যে গানটি প্রকাশ করা।’
লোকজ ও জীবনমুখী গানের জন্য তার বেশ খ্যাতি রয়েছে। ‘ভাঙা তরী ছেঁড়া পাল’ গান দিয়ে সংগীতাঙ্গনে পরিচিত হয়ে ওঠা এ শিল্পী। পরবর্তীতে ‘ভবের বাড়ি’, ‘যৌবন গেলে প্রেম হবে না’, ‘কলঙ্কী’, ‘দিল দিয়া যারে ভালোবাসিলাম’, ‘দয়াল’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য যে, নন্দিত এ কন্ঠশিল্পী শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার লঙ্গরপাড়া গ্রামের এক বাঙ্গালী পরিবারে এই সঙ্গীতশিল্পী ১৯৮৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জন্ম গ্রহন করেন । নাম মোঃ হাবিবুর রহমান, ডাক নাম কিশোর পলাশ । বাবা আশরাফ আলী পেশায় সরকারী চাকুরীজীবি। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ জেল এ কর্মরত আছেন । মা পারভীন বেগম একজন গৃহিনী । দুই ভাই এক বোনের, কিশোর পলাশ সবার বড় ।