বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, শেরপুর জেলা শাখা ওঅ ঙ্গ দলের উদ্যোগে শুক্রবার (১৫ মে ) নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেশে রপুর পৌরসভার মৈত্রীবাড়ি মাঠে পাঁচশত অসহায়, দরিদ্র, প্রতিবন্ধীপ রিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী ও মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। বাংলাদেশজা তীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, শেরপুর জেলা সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. মাহমুদুল হক রুবেল এসব খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন।
খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল, আটা, তেল, ডাল, আলু, চিনি ও সেমাই। এসময় জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. আওয়াল চৌধুরী, জেলা বিএনপিরস হ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ বাদল, অ্যাডভোকেট মুখলেছুর রহমান জীবন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মাসুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রশিদপ লাশ, আক্রামুজ্জামান রাহাত, আবু রায়হান রূপন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজুল হক মোল্লা, ছাত্রদল জেলা সভাপতি মো. শওকত হোসেনসহ বিএনপি ও অঙ্গসং গঠনসমূহের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে সাবেক সংসদ সদস্য মাহমুদুল হক রুবেল বলেন, বর্তমান সরকারের চরম সিদ্ধান্ত ও সমন্বয়হীনতার কারণে করোনা ভাইরাসের
সংক্রমণ প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে। দলমত নির্বিশেষে সকল রাজনৈতিক দল, গবেষক, ডাক্তার, সমাজসেবকসহ করোনা প্রতিরোধে যদি সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ না করা হয় তাহলে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের একার পক্ষে কখনোই এটির মোকাবেলা সম্ভব নয়।
এখনও সময় আছে সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ করার- এই আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের প্রস্তুতি সন্তোষজনক নয়। দীর্ঘ একমাসেরও বেশি সময় ধরে শ্রমজীবী অসহায় মানুষ ঘরে বন্দী অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করলেও সরকারের ত্রাণ তৎপরতা অপ্রতুল। এরপরেও ত্রাণ বিতরণে চলছে অনিয়ম, চলছে লুটপাট। কিন্তু এ ব্যাপারে যথাযথ বিচারের উদ্যোগ নেই। সরকারি ত্রাণ বিতরণে শৃংখলা ফিরিয়ে এনে ত্রাণ লুটপাটকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির জোড় দাবী জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, মরণঘাতী ভাইরাস করোনার পর্যাপ্ত নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা কার্যক্রম চালাতেও ব্যর্থ হয়েছে এ সরকার। প্রতিদিন পরীক্ষা যত বেশি বেশি করা যাবে আক্রান্ত রোগি সনাক্তের সংখ্যাও তত বাড়বে। প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে কিন্তু সরকার লকডাউন শিথিল করে জনগনকে আরো ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় বিশ্ব সাস্খ সংস্থার উপদেশ মেনে চলার অন্য কোন বিকল্প আমাদের হাতে নেই। তাই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই মেনে চলতে হবে। অদৃশ্য এ জীবানু মোকাবেলায় স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি পবিত্র রমজান মাসে সিয়াম সাধনা ও বেশি বেশি এবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হবে।
তিনি বলেন, শ্রমিক সংকটের কারণে কৃষক তাঁর কষ্টার্জিত সোনালী ফসল ঘরে তোলা নিয়ে উৎকন্ঠায় থাকলেও সরকারের এ ব্যাপারে বাস্তবমুখী উদ্যোগ নেই বললেই চলে।