‘‘কৃষক বাচলে, বাঁচবে দেশ” এ স্লোগানকে সামনে রেখে শেরপুরের শ্রীবরদীতে গরীব অসহায় হতদরিদ্র প্রান্তিক দুই কৃষকের জমির পাকা ধান কেটে বাড়িতে এনে মাড়াই করে দিয়েছে জেলা ও উপজেলা কৃষকলীগের নেতৃবৃন্দ। করোনাভাইরাস জনিত কারণে টাকার সংকটে পাকা ধান কাটতে পারছিলেন না পশ্চিম ছনকান্দা গ্রামের দুই কৃষক।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার (১১ মে) সকালে জেলা কৃষকলীগের উদ্যোগে তাতিহাটি ইউনিয়নের পশ্চিম ছনকান্দা গ্রামের সাফিজল হকের ৫০ শতাংশ ও নওশেদ আলীর ৫০ শতাংশ মোট ১০০ শতাংশ (এক একর) জমির পাকা ধান কেটে বাড়িতে এনে মাড়াই করে দেওয়া হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষকলীগ সভাপতি আব্দুল কাদের, সহ-সভাপতি ছালাহ উদ্দিন ছালেম, উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম তালুকদার, সাধারন সম্পাদক বনিজ উদ্দিন, আইন বিষয়ক সম্পাদক রমেশ সরকার, তাতিহাটি ইউনিয়ন শাখার কৃষকলীগ সভাপতি রফিকুল ইসলামসহ শতাধিক নেতাকর্মী। কৃষক সাফিজল হক ও নওশেদ আলী বলেন, টাকার অভাবে ক্ষেতের পাকা ধান কাটতে না পেরে কৃষকলীগের নেতাদের জানাই। পরে কৃষকলীগ স্বেচ্ছা শ্্রমে আমাদের জমির পাকা ধান কেটে বাড়িতে এনে মাড়াই করে দেওয়াতে অনেক উপকার হয়েছে। এতে আমরা কৃষকলীগের প্রতি কৃতজ্ঞ।
এ ব্যপারে জেলা কৃষকলীগ সভাপতি আব্দুল কাদের বলেন, আমাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের নির্দেশনা দেওয়া আছে। করোনাভাইরাস জনিত কারণে যারা পাকা ধান কাটতে পারছেন না আমরা স্বেচ্ছাশ্রমে তাদের ধান কেটে বাড়িতে নিয়ে মাড়াই করে থাকি। এপর্যন্ত আমারা অনেক কৃষকের ধান কেটে দিয়েছি। জেলা কৃষকলীগ সহ-সভাপতি ছালাহ উদ্দিন ছালেম বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে দেশের এমন সংকটময় মুহুর্তে অনেক কৃষক অসহায় হয়ে পড়েছে। আমরা সে সকল কৃষকদের পাকা ধান কেটে মাড়াই করে দিচ্ছি।
এছাড়া, কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সমীর চন্দ্র চন্দ এবং সাধারন সম্পাদক এ্যাড. উম্মে কুলসুম এমপি’র নির্দেশনায় দেশব্যাপি করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবে শ্রমিক সংকট ও টাকার অভাবে যারা জমির পাকা ধান কাটতে পারছেন না, এমন সংবাদ পেলেই আমরা তাদের ধান কেটে মাড়াই করে দিয়ে থাকি।