শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার গারো পাহাড়ের ঢালে সীমান্তবর্তী এলাকায় যাতায়াতের সড়কের একটি সেতু ভেঙ্গে যাওয়ায় তিন বছর ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন আদিবাসীরা । সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সেখানে একটি সেতু নির্মাণে জোর দাবি জানিছেন আদিবাসীরা।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের সীমান্তঘেঁষা গারো পাহাড়ের ঢালে অবস্থিত খলচন্দা গ্রাম। এই গ্রামে ৫০টি কোচ পরিবারসহ দেড় শতাধিক পরিবারের এক হাজার মানুষ বাস করে। এখানের অধিকাংশ মানুষ গরিব। দিন আনে দিন খায়। সীমান্তবর্তী এলাকায় যাতায়াতের জন্য ২০০৭ সালে ওয়ার্ল্ড ভিশন নালিতাবাড়ী-এডিপি কোচপাড়া এলাকায় ৫০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি সুরু সেতু নির্মাণ করে দেয়। ২০১৩ সালে পাহাড়ি ঢলের পানিতে সেই সেতুর নিচের মাটি ধসে যাওয়ায় সেতুর একাংশ ভেঙে যায়।
তিন বছর ধরে খলচন্দা গ্রামের লোকজনসহ কোচপাড়ার বাসিন্দারা ভাঙা সেতু দিয়ে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এখানে নতুন সেতু নির্মাণের জন্য এলাকাবাসী একাধিকবার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু এখনো কোনো কাজ হয়নি। এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এ সড়কে চলাচলের জন্য একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
কোচপাড়ার প্রধান সবরন্ত কোচ(৭২) বলেন,সেঁতুটা ভাইঙা যাওয়ায় এই পাড়ার অসহায় মানুষ গুলার চলাচলে বিরাট কষ্ট অয়। প্রশাসনের লোকজন যদি আমগওে একটা সেঁতু কইরা দিতো তাইলে এই গরিব পাহাড়ি মানুষ গুলার উপকার অইতো।
পোড়াগাঁও ইউনিয়নের পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আজাদ মিয়া বলেন, সীমান্তবর্তী কোচপাড়ায় সেতু না থাকায় এলাকাবাসী যাতায়াতে প্রতিনিয়ত কষ্ট করে। সেতুর নির্মাণের জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে।
উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী (এলজিইডি) আবদুল্লাহ-আল-মামুন বলেন, ‘আমি কর্মস্থলে নতুন যোগদান করেছি। বিষয়টি দেখে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।