শেরপুরের ফার্মেসিগুলোতে এক সপ্তাহ ধরে নেই কোনো জীবাণুনাশক ফ্লুইড, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যাক্সিসল ও মাস্ক। এতে করোনা ভাইরাস ঝুঁকি এড়াতে বিপাকে আছেন সাধারণ মানুষ।
বিক্রেতাদের দাবি, চাহিদা থাকলেও কোম্পানির সরবরাহ নেই। চোখ, মুখ, নাক ও হাতের মাধ্যমে সংক্রমণ হতে পারে করোনা ভাইরাস। এমন প্রচারণার পরও শেরপুরে দেখা মেলে মাস্ক ছাড়াই রাস্তাঘাটে চলাফেরা করছেন সাধারণ মানুষ, হাট-বাজারে ভিড় লেগেই আছে।
এদের কেউ কেউ ব্যবহার করছেন কাপড়ে তৈরি মাস্ক, যার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। অধিকাংশ মানুষের অভিযোগ, ফার্মেসিগুলোতে নেই কার্যকর সার্জিক্যাল মাস্ক বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যাক্সিসল। বাংলাদেশ একতা সংঘের সভাপতি আরিফুর রহমান আকিব বলেন, মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার কোন ফার্মেসিতেই পাওয়া যাচ্ছেনা। আমি প্রায় পঁচিশ, ত্রিশটি ফার্মেসীতে দেখেছি।
ফার্মেসির বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে বারবার চাহিদাপত্র দেয়ার পরও পাচ্ছেন না তারা। শেষ হয়ে গেছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হেক্সিসলসহ জীবাণুনাশক ফ্লুইড।
আরেকজন বলেন, এখন পর্যাপ্ত মাস্ক, হ্যাক্সিসল, হ্যান্ড স্যানিটাইজার দরকার। কিন্তু তা তো পাওয়াই যাচ্ছে না। ফার্মেসির বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে বারবার চাহিদাপত্র দেয়ার পরও পাচ্ছেন না তারা। শেষ হয়ে গেছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হেক্সিসলসহ জীবাণুনাশক ফ্লুইড।
আরেক ব্যবসায়ী বলেন, প্রতি শিডিউলেই অর্ডার দেই। কিন্তু সারাদেশে ব্যপক চাহিদা থাকায় আমাদের কাছে মাস্ক কিংবা জীবাণুনাশক ফ্লুইড আসে না।
জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ একেএম আনোয়ারুর রউফ বলেন, এ মূহুর্তে তিন স্তরের কাপড়ে তৈরি মাস্ক, ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করা যেতে পারে। সাবান দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে বার বার। সর্বোপরি জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। এদিকে করোনা ভাইরাস ঝুঁকি কমাতে সামাজিক দূরত্ব তৈরি করতে শেরপুর শহরে প্রচারাভিযান চালিয়েছে জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ ও পুলিশ। বিদেশ ফেরতদের তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে এলাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ।