করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। পাশাপাশি আক্রান্তদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে জেলায় একটি বিশেষ ‘আইসোলেশন’ ইউনিট চালু করা হয়েছে।
স্থলবন্দরের একটি রুমে বসানো হয়েছে তিন সদস্যের দুটি মেডিকেল টিম। তারা ইনফারেট থার্মোমিটার দিয়ে আগত যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা ও জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তবে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাস আক্রান্ত কোন রোগী পাওয়া যায়নি।
নাকুগাঁও স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশে যাতায়াতকারী যাত্রীদের করোনা ভাইরাস শনাক্তের জন্য প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কাজ করছে।
শেরপুর সিভিল সার্জন ডা. একেএম আনোয়ার রউফ জানান, করোনা রোগীর চিকিৎসা ও আলাদা রাখার জন্য ইতোমধ্যে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ১৫০টি শয্যা প্রস্তুতিসহ নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে জেলা সদর হাসপাতালে ১০ শয্যা, ঝিনাইগাতী উপজেলা হাসপাতালে ২০ শয্যা, শ্রীবরদী হাসপাতালে ২০ শয্যা, নালিতাবাড়ীর রাজনগর মা ও শিশু হাসপাতালে ৫০ শয্যা ও নকলার উরফা হাসপাতালে ৫০ শয্যা রয়েছে। করোনা সন্দেহ হলে নালিতাবাড়ী ও নকলার দুটি প্রতিষ্ঠানে কোয়ারেন্টাম কক্ষে রাখা হবে।