নেপাল ও ভুটান যেতে অনেকে সড়কপথ বেছে নেন। এ জন্য প্রয়োজন হয় ভারতের ট্রানজিট ভিসা। সবকিছু ঠিক থাকলে সাধারণত ১৫ দিনের ট্রানজিট ভিসা দেয় ভারত। দেশটিতে প্রতিবার প্রবেশ করে সর্বোচ্চ ৩ দিন থাকা যাবে।
ভারতীয় স্টেট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশে ১৫ টি ভারতীয় ভিসা আবেদনপত্র কেন্দ্র (আইভ্যাক) রয়েছে। সেগুলো ঢাকা (যমুনা ফিউচার পার্ক), যশোর, খুলনা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী ও রংপুর, ঠাকুরগাঁও, সাতক্ষীরা, বগুড়া, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং কুমিল্লায় অবস্থিত। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঠিক থাকলে কোনো ধরনের ঝক্কি ছাড়াই মিলবে এ ভিসা।
আবেদনের প্রস্তুতি
- ট্রানজিট ভিসা পেতে প্রথমে অনলাইনে পূরণ করতে হবে আবেদনপত্র। ফর্ম পূরণের দিন থেকে পরবর্তী ৫ দিনের মধ্যে তা জমা দিতে হবে।
- ভিসার ধরন হবে ট্রানজিট। মনে রাখবেন, নেপাল যেতে চাইলে এন্ট্রি এবং এক্সিট পোর্ট হবে চ্যাংড়াবান্ধা/রানিগঞ্জ। যদি ভুটান যেতে চান তবে চ্যাংড়াবান্ধা/ জয়গাঁও সিলেক্ট করবেন।
- ফর্ম ঠিক মতো পূরণ করে প্রিন্ট করে নিন।
- ভিসা প্রসেসিং ফি হিসেবে ৮০০ টাকা জমা দিতে হবে আপনাকে।
- এর আগে টুরিস্ট ভিসা থাকলে সেটা বাতিল হয়ে যাবে।
ভিসা আবেদন ফর্মের যা লাগবে
- মূল পাসপোর্ট জমা দিতে হবে। পাসপোর্টের মেয়াদ সর্বনিম্ন ছয় মাস থাকতে হবে।
- পাসপোর্টের ইনফরমেশন পেজের ফটোকপি।
- এর আগে ভিসা থাকলে সেটার ফটোকপি।
- ভিসা ফর্মের জন্য এক কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি (২ বাই ২)। ছবি অবশ্যই ৩ মাসের বেশি পুরনো হওয়া যাবে না।
- জন্ম সনদ অথবা জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট অথবা অ্যান্ডোর্সমেন্টের মূল কপি এবং ফটোকপি।
- আবাসস্থলের প্রমাণস্বরূপ বৈদ্যুতিক বিলের ফটোকপি। ছয় মাসের বেশি পুরনো হওয়া যাবে না।
- পেশার প্রমাণস্বরূপ চাকরিজীবী হলে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি) এর মূল কপি ও ফটোকপি। ব্যবসায়ী হলে ট্রেড লাইসেন্সের কপি। শিক্ষার্থী হলে প্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র।
- যাওয়া-আসার টিকিটের অরিজিনাল কপি ও ফটোকপি।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার