শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন। শেরপুর-ঝিনাইগাতী কালিবাড়ী নামক স্থানে ট্রলি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে অটোরিক্সার ড্রাইভার তাজুল ইসলাম (৫০) নামে এক জনের মৃত্যু হয়। অন্যজন ঝিনাইগাতী বাজার সংলগ্ন মহারশি নদীর ব্রীজপাড়ে অটোরিক্সা চাপায় সানজিদা (৯) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (৬ জানুয়ারী) এসব দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত- তাজুল ইসলাম ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরের থানা রোডের মৃত আব্দুল জলিলের পুত্র।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইগাতী থেকে অটোরিক্সা শেরপুর যাওয়ার পথে ও ট্রলিটি বাজিতখিলা থেকে ঝিনাইগাতী আসার পথে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। অটোরিক্সার ড্রাইভার তাজুল ইসলাম মারাত্মক আহত হলে, এলাকাবাসী তাকে প্রথমে শেরপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাজুলকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। তাজুল পথিমধ্যে ফুলপুর নামক স্থানে মারা যায়।
ঝিনাইগাতী থানার এএসআই রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত ট্রলি ও অটোরিক্সাটি আটক করে থানায় আনা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অপরদিকে, অটোরিক্সা চাপায় সানজিদা (৯) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৬ জানুয়ারী) দুপুরে উপজেলার মহারশি নদীর ব্রীজের উপর এ ঘটনা ঘটে। সে ঝিনাইগাতী উপজেলার খৈলকুড়া গ্রামের শামছুল হকের মেয়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঝিনাইগাতী ইক্রা মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী সানজিদা বেলা ১২ টার দিকে মাদ্রাসা থেকে বই নিয়ে বাড়ী যাওয়ার পথে ঝিনাইগাতী বাজার সংলগ্ন মহারশি নদীর ব্রীজের উপর একটি অটোরিক্সা তাকে চাপা দেয়। পরে এলাকাবাসী সানজিদাকে উদ্ধার করে ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এসময় চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক ঘন্টা পর সানজিদার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুবক্কর সিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন দুটি ঘটনারই মামলা হয়েছে। আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।