শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং চরমে পৌছেছে। ঘনঘন লোডশেডিংয়ে নাজেহাল হয়ে পড়ছে মানুষ। তাছাড়া রোজার মাসে প্রচন্ড তাপদাহ, বিদ্যুতের ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিংয়ে মানুষের জিবনকে করে তুলেছে দুর্বিসহ। বিশেষ করে ইফতার, তারাবীর নামাজ ও সেহেরীর সময় বিদ্যুত থাকেই না। প্রচন্ড গরমে দেখা দিচ্ছে গরম জনিত বিভিন্ন রোগ বালাই।
দীর্ঘ সময় বিদ্যুতের লোডশেডিং দেওয়ায় জনজীব বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। বিদ্যুতের আসা-যাওয়া যেন এক অলিখিত নিয়মে পরিনিত হয়েছে। চলমান তাপদাহে এমনিতেই নাকাল সাধারন মানুষ। তার উপর বিদ্যুতের ভেলকিভাজী এ যেন এক মরুভূমির রাজ্য। এদিকে লোডশেডিং এর কারনে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে পল্টিশিল্প ও ধানের চাতাল মালিকদের। অপরদিকে বিদ্যুত বিভ্রাটে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে অটো রাইচ মিলের। এ কারনে অটো রাইচ মিল মালিকরা লোকসানের আশংকা করছেন। শ্রমিকরা অলস সময় পার করছেন। ওদিকে চাল উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে।
নালিতাবাড়ী প্রগ্রেসিভ মডেল স্কুলের শিক্ষক সুব্রত রায় তনয় জানান, লেডশেডিং এর কারনে শিক্ষার্থীরা ঠিকমত লেখাপড়া করতে পারছে না। লোডশেডিং থাকায় কাশে মনোযোগি হতে পারছেনা শিক্ষার্থীরা। অসহনীয় গরমে ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের নিয়ে বিপাকে আছেন অভিভাবকরা। গত কয়েক বছরের তুলনায় বর্তমান সময়ে বেশি লোডশেডিং হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি। তিনি দ্রুত সময়ে বিদ্যুত পরিস্থিতি উন্নয়নের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের আশু দৃষ্টি কামনা করেন।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী আবাসিক প্রকৌশলি সোহরাব আলী জানান, চাহিদা অনুযায়ি সরবরাহ না থাকায় বিদ্যুতের লোডশেডিং হচ্ছে। এতে আমাদের কিছু করার নাই। উপর মহল থেকে যে পরিমান বিদ্যুত দেওয়া হয় আমরা তাই সরবরাহ করি।