শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় নদী বাঁচাতে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয়ের সচিব আব্দুস সামাদ ফারুক।
এতে উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিওটিএ এর নির্বাহী প্রকৌশলী দিদার এ আলম, নালিতাবাড়ীর সহকারি কমিশনার (ভুমি) লুবনা শারমীন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফ ইকবাল, উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুলাহ আল মামুন, প্রেসক্লাব সভাপতি এম এ হাকাম হীরা, সাংবাদিক সামেদুল ইসলাম তালুকদার, মনিরুল ইসলাম মনির, ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুস আলী দেওয়ান, খোরশেদ আলম খোকা, মাহবুবুর রহমান লিটন, আসাদুজ্জামান আসাদসহ স্থানীয় সুধী ও গণ্যমান্য বাক্তিরা।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, নালিতাবাড়ীর অনেক শাখা নদী ও বিল হারিয়ে গেছে। বর্তমানে ভোগাই ও চেল্লাখালী নদী দুইটি বেঁচে থাকলেও তা বিলিনের পথে। কারণ অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনসহ বিভিন্ন কারণে নদী দুটি মারা যাওয়ার পথে। তাই সকলের উচিত নদী রক্ষায় এগিয়ে আসার।
এসময় সচিব আব্দুস সামাদ ফারুক বলেন, এই নদী দুটিকে রক্ষা করতে হলে আগামী ২০ বছর পর্যন্ত নদী থেকে যত্রতত্র বালু উত্তোলন বন্ধ রাখতে হবে।
এদিকে মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, ময়মনসিংহের বিভাগের অনেক নদী এখনও বিলিন হয়ে গেছে। তাই এ বিভাগের নদীগুলো বাচাতে প্রায় ৮০ কোটি টাকার মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘আভ্যন্তরীণ নৌ-পথে ৫৩টি নৌ-পথে ক্যাপিটাল ড্রেজিং (প্রথম পর্যায়ে চব্বিশটি নৌপথ) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুরের সর্চাপুর পর্যন্ত প্রায় ১৫৫ কিলোমিটার নৌ-পথ ড্রেজিং করা হচ্ছে।
মোট প্রায় ৮০ কোটি টাকা বরাদ্দে পাঁচটি প্যাকেজের প্রতিটি প্যাকেজে ২০ লাখ ঘনমিটার মাটি খনন করা হবে এ প্রকল্পের আওতায়। এরই অংশ হিসেবে নাব্যতা ধরে রেখে পুনরায় নৌ-পথ চালু করা এবং পরিবেশের ভারসাম্য বজায় ও কৃষিকাজে ব্যবহার্যে পানির স্তর স্বাভাবিক রাখতে ভোগাইসহ নালিতাবাড়ীর অন্যান্য নদী বা খাল খনন করার কথা ভাবা হচ্ছে। সকলের মতামতের ভিত্তিতে সার্ভে শেষে এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে পদক্ষেপ হাতে নেয়া হবে। ইতিমধ্যেই নালিতাবাড়ীর দুদুয়ারখালের প্রায় সাড়ে ৮ কিলোমিটার এলাকায় ২ লাখ ঘনমিটার মাটি খননের কাজ শুরু হয়েছে। বাৎসরিক বিশেষ বরাদ্দ থেকে ২ কোটি ৯০ লাখ টাকা বরাদ্দে এ কাজ চলমান রয়েছে।