১৬ ডিসেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় শেরপুরে নকলায় কিছুটা মানসিক প্রতিবন্ধী জুয়েল মিয়া (৩০) নামে এক যুবক পাওয়া গেছে। সে তার বাবা-মায়ের কাছে যেতে চায়। সে বর্তমানে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে।
জুয়েল মাঝে মধ্যে স্বাভাবিক মানুষের মতোই কথা বলতে পারে। তার সাথে কথা হলে সে জানায়, তার নাম জুয়েল মিয়া এবং বয়স ৩০ বছর। সে তার মায়ের নাম বলতে না পারলেও তার বাবার নাম সুস্পষ্ট করে জানায় মো. আনোয়ার হোসেন। ঠিকানা জানতে চাইলে, তার বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার বাঁশাইল উপজেলার কাউজানি কল্যানপুর গ্রামে বলে সে জানায়। তার বাবা ডুংলীবাড়ি বাজারের একজন চা ব্যবসায়ী। জুয়েল জানায় ৭-৮ আগে সে অন্য লোকের সাথে তার বাড়ি থেকে বেড়িয়ে আসে। এরপর থেকে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে অন্যের দেওয়া খাবার খেয়ে দিনাতিপাত করছে সে।
১৬ ডিসেম্বর সোমবার বিকেলে নকলা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান একেএম মাহবুবুল আলম সোহাগের অফিসের সামনে অবস্থান নেয়। প্রথমে তাকে সুস্থ্য ভেবে কেউ কিছু না ভেবে এড়িয়ে চলেন। কিন্তু রাত হয়ে গেলে অফিসের সামনে দীর্ঘ্য সময় বসে থাকতে দেখে তার সাথে কথা বলে মাহবুবুল আলম সোহাগ বুঝতে পারেন জুয়েল হয়তোবা মানসিক প্রতিবন্ধী। পরে রাত ৯টার দিকে কেএম মাহবুবুল আলম সোহাগ নকলা থানা পুলিশকে জানালে, পুলিশ জুয়েলকে নিয়ে নকলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। সে এখন ওই হাসপাতালেই আছে।
এমতাবস্থায় জুয়েল মিয়া (৩০)-কে তার বাবা মায়ের কাছে পৌঁছতে সহায়তা করার জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন- সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম মাহবুবুল আলম সোহাগ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সারোয়ার আলম তালুকদার ও নকলা থানার ওসি আলমগীর হোসন শাহ।