ঋতুর সঙ্গে পাল্টে যায় সাজেকের চারদিক। বর্ষায় জায়গাটির সৌন্দর্য এক রকম, আর শীতের স্নিগ্ধতায় পাহাড়ের রুপে আসে লাবণ্যতা! ক্ষণে ক্ষণে রুপ বদলানো সাজেকের আবহাওয়ায় আপনি হবেন বিমোহিত, এটা নিশ্চিত! আকাশ এখানে দিগন্তের নীল ছুঁয়ে পাহাড়ে হেলান দিয়ে ঘুমায়। এই শীতে যেতে চান? রিসোর্ট বুকিং দিয়েই বেরিয়ে পড়ুন।
খাগড়াছড়ি থেকে সাজেকের দূরত্ব প্রায় ৭০ কিলোমিটার। খাগড়াছড়ি শহরের শাপলা চত্বর থেকে মাহিন্দ্রা বা চান্দের গাড়ি রিজার্ভ নিয়ে সাজেক ভ্যালি ঘুরে আসতে পারবেন। এক গাড়িতে করে ১২-১৪ জন যেতে পারবেন। তবে লোক কম থাকলে অন্য কোনো ছোট গ্রুপের সঙ্গে কথা বলে শেয়ার করে গাড়ি নিলে খরচ কম হবে। সম্প্রতি খাগড়াছড়ি জীপ মালিক সমিতি নির্ধারণ করেছে মাহিন্দ্রা ও চান্দের গাড়ি ভাড়া।
* খাগড়াছড়ি হতে সাজেক একদিনে আসা-যাওয়া: চান্দের গাড়ি ৫,১০০ ও মাহিন্দ্রা ৫,৪০০ টাকা।
* খাগড়াছড়ি হতে সাজেক ১ রাত্রিযাপন: চান্দের গাড়ি ৬,৬০০ ও মাহিন্দ্রা ৭,৭০০ টাকা।
* খাগড়াছড়ি হতে সাজেক ১ রাত্রিযাপন (আলুটিলা রিচাং ঝরনাসহ): চান্দের গাড়ি ৮,১০০ ও মাহিন্দ্রা ৯,৭০০ টাকা।
* খাগড়াছড়ি হতে সাজেক ২ রাত্রিযাপন: চান্দের গাড়ি ৮,৬০০ ও মাহিন্দ্রা ১০,৫০০ টাকা।
* খাগড়াছড়ি হতে সাজেক ২ রাত্রিযাপন (আলুটিলা রিচাং, ঝরনাসহ): চান্দের গাড়ি ১০,৫০০ ও মাহিন্দ্রা ১২,৫০০ টাকা।
সেনাবাহিনী, বিজিবি এবং পুলিশ প্রশাসন পর্যটন কেন্দ্রটিতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করায় দিন দিন বাড়ছে পর্যটক সংখ্যা। আপনাকে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে, শীতকালে দীঘিনালা থেকে সেনাবাহিনীর এসকোর্ট শুরু হবে সকাল ৯ টা থেকে ৯টা ৩০ মিনিটের মধ্যে। তাই ওই সময়ের আগেই আপনাকে পৌঁছে যেতে হবে খাগড়াছড়ি থেকে দীঘিনালায়। সকালের এসকোর্ট মিস করলে অপেক্ষা করতে হবে দুপুর ২টা পর্যন্ত। এসকোর্ট ছাড়া যাবার অনুমতি পাবেন না।