যৌতুকের দাবিতে কলেজ ছাত্রী স্ত্রীকে অমানসিক শারিরিক নির্যাতনের ঘটনায় নির্যাতিতার স্বামী পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে শেরপুরের শীবরদীতে।
৫ জুন সোমবার সকালে শ্রীবরদী থানায় ওই মামলাটি দায়ের করেন নির্যাতিতা কলেজছাত্রীর মা সেলিনা আক্তার লাকী। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলাটি রেকর্ড করা হয়নি। পুলিশ বলছে বিষয়টি খতিয়ে দেখেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, শেরপুর শহরের দমদমা মহল্লার ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলামের একমাত্র কন্যা ও সরকারি মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী আশরাফুন্নাহার লোপা (১৯)। গত ২২ মে রাতে শ্রীবরদী উপজেলার ঘোনাপাড়া গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে ২০ লাখ টাকার যৌতুকের দাবি আদায়ে ব্যর্থ হয়ে তার উপর অমানসিক নির্যাতন চালায় স্বামী ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক শাহিনুল ইসলাম সুজন (৩০) ও তার পরিবারের লোকজন। এরপর চিকিৎসার অজুহাতে বাড়ি থেকে শেরপুরে নিয়ে আসার কথা বলে কৌশলে স্ত্রীকে ঢাকার দক্ষিণ বনশ্রী এলাকায় ভাড়াটে বাসায় বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখে। একই সাথে স্ত্রীকে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় এবং পুনরায় শারিরিক নির্যাতন চালায়। এ খবর পেয়ে লোপার পরিবারের লোকজন ৩ জুন শনিবার রাতে খিলগাও থানা পুলিশের সহায়তায় ওই বাসা থেকে উদ্ধার করে শেরপুরে নিয়ে আসে এবং জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সোমবার দুপুরে নির্যাতিতার একাধিক ডাক্তারী পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে লোপাকে নির্যাতনের ঘটনায় পুলিশের এসআই শাহিনসহ তার সহযোগীগের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি করেছেন জেলা মহিলা পরিষদের নেৃতৃবন্দ।
এ বিষয়ে সোমবার দুপুরে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস আলম জানান, কলেজছাত্রী গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনায় তাকেসহ পরিবারের ৬ জনকে আসামী করে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি খুবই গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম ওই গৃহবধূকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। দ্রুতই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।