সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ঘেঁষা শেরপুরে গত তিন দিনের গুড়িগুড়ি বৃষ্টিতে ঠান্ডা বাতাসের সঙ্গে শীত আসতে শুরু করেছে। সকালের মেঘাছন্ন আকাশে দেখা মিলে না সূর্যি মামার। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে আমন ধান হেলে পড়াসহ সবজি আবাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আবহাওয়ার পরিবর্তন না হলে আরও বেশি ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করছেন স্থানীয় কৃষকেরা।
গত বুধবার রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিপাত ও বাতাসে ঘরবাড়ী গাছপালার ক্ষয়ক্ষতি না হলেও জেলার ৫ টি উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় আমন ক্ষেত মাটিতে হেলে পড়েছে। অনেক ক্ষেতে পানি জমে থাকায় হেলে পড়া ধানের শীষ পঁচে নষ্ট হওয়ায় আশংকায় গোছা বেঁধে ধানগাছ তুলে দেয়ার চেষ্টা করছেন কৃষকরা। এছাড়া বৃষ্টিতে বেগুন, মুলা, ফুলকপি, বাধাঁকপি, মরিচ, লালশাকসহ অন্যান্য শাক-সবজীর পাতা ছিঁড়ে যাওয়া, হেলে পড়াসহ ফসলের ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
শেরপুর সদর উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের কৃষক আরিফুর রহমান বলেন, ৩৫ শতাংশ জমিতে আমি শিম, করলা, মূলা চাষ করেছি। টানা বৃষ্টিতে পানি জমেছে। ড্রেন করে পানি অপসারণ করায় কিছুটা রক্ষা পেয়েছি।
শ্রীবরদী উপজেলার চিথলীয়া গ্রামের কৃষক শাহ-কামাল বলেন, বাড়ির পাশে ২০ শতাংশ জমিতে সবজি চাষ করেছি। টানা বৃষ্টিতে ক্ষেত তলিয়ে গেছে।
একই উপজেলার কাজিরচর গ্রামের কৃষক আমজাদ হোসেন, জামাল উদ্দিন ও লংগরপাড়া গ্রামের কৃষক লালু চন্দ্র বর্মন জানান, বাজারে ধানের দাম নেই। উৎপাদিত ফসল বিক্রি করে খরচ উঠানো মুশকিল, তার উপর গত তিন দিনের বৃষ্টিতে আমাদের আমন ধানের ক্ষেত মাটিতে পড়ে গেছে। তবে আজকালের মধ্যে রোদ উঠলে ক্ষতি কম হবে। এ নিয়ে দুঃচিন্তায় আছি।
এদিকে জেলা কৃষি কর্মকর্তা আশরাফ উদ্দিন হেলেপড়া ধান ও সবজি জমিতে ড্রেন করে পানি বের করে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।