শেরপুরের গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) অভিযান চালিয়ে ২৮ মে রোববার ভোরে আড়াই লাখ জাল টাকা সহ জাল চক্রের ৮ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। তাঁরা হলো Ñ জেলা শহরের নওহাটা এলাকার আলেক মাহমুদের ছেলে ফাহিম মিয়া (২০) একই এলাকার মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে তজ মিয়া (৩৪), সজবরখিলা এলাকার লক্ষ্মণ বিশ্বাসের ছেলে লিটন বিশ্বাস (২২), অর্জুন বিশ্বাসের ছেলে পার্থ বিশ্বাস (২০), গঙ্গা বাসফোরের ছেলে বিশু বাসফোর (২৪), সদর উপজেলার চৈতনখিলা এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মো. মাসুদ (২০), শ্রীবরদী উপজেলার ভায়াডাঙ্গা পশ্চিম পাড়া গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে যুবরাজ হোসেন লিখন (৬৩) ও একই এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ইলিয়াছ কাঞ্চন (৫৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জাল টাকা লেনদেন হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার ভোরে শেরপুর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ঝিনাইগাতীর ধানশাইল গ্রামে অভিযান চালায়। এসময় ১০০০ হাজার টাকা মুল্যমানের ৫২ হাজার জাল নোট সহ ফাহিম মিয়াকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যে জেলা শহরের সজবরখিলা এলাকার দু’টি ভাড়া বাসা ঘেরাও করে সেখান থেকে যুবরাজ হোসেন লিখন নামে এক জালচক্রের সদস্যের কাছ থেকে ১০০০ হাজার টাকা মুল্যমানের ১ লাখ ও ইলিয়াছ কাঞ্চনের কোর্টের পকেট থেকে ১০০০ হাজার টাকার আরও ৯৭ হাজার জাল টাকা উদ্ধার করা হয়। ওই দুইজনের তথ্যের ভিত্তিতে চক্রের অপর ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের কাছ থেকে ৩ হাজার জাল টাকা উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে শেরপুর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. কামরুজ্জামান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জালচক্রের সক্রিয় সদস্যরা জেলাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে জাল নোট কেনাবেচা করে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই শক্তিশালী চক্রটিকে গোয়েন্দা পুলিশ ধরতে সক্ষম হয়েছে। তিনি বলেন, এ চক্রের সদস্যরা জালটাকা ছাড়াও নানাবিধ সমাজ বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত। রিমান্ড আবেদনসহ আসামীদের বিচারিক আদালতে সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছে।