শেরপুরে মাদ্রাসা ছাত্রী শিশুকে ধর্ষণের দায়ে ফরহাদ হোসেন ওরফে সোনালী (২৮) নামে এক যুবকের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকার অর্থদন্ড হয়েছে। দন্ডপ্রাপ্ত সোনালী নকলা উপজেলার ডাকাতিয়া কান্দা গ্রামের ইয়াদ আলীর ছেলে। ২৯ জানুয়ারী রোববার শেরপুরের নারী ও শিশু আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দিন জনাকীর্ণ আদালতে ওই মামলার রায় ঘোষনা করেন। এসময় আসামী কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিল।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ৮ ডিসেম্বর ছত্রকোনা মোফাজ্জলিয়া মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী বার্ষিক পরীক্ষা শেষে বাড়ী ফিরছিল। এসময় আসামীর বাড়ীর সামনে এলে সে ওই মেয়েটিকে টেনে-হিঁচড়ে তাঁর বাড়ীর ভেতর নিয়ে যায় এবং ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা নকলা থানায় সোনালীকে একমাত্র আসামী করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২ মাস পর গাজীপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করে। তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী নকলা থানার উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ আল-আমিন তালুকদার আদালতে অভিযোগ পত্র দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষের স্পেশাল পিপি গোলাম কিবরিয়া বুলু বলেন, আদালতে আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হওয়ায় বিচারক ওই রায় ঘোষনা করেছেন। তিনি বলেন, বিচারিক পর্যায়ে বাদী, ভিকটিম, চিকিৎসক ও জবানবন্দি গ্রহণকারী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্্েরটসহ মোট ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।