শেরপুরে সোনালি ধান আউশের বিভিন্ন জাতের ধান কাটা ও মাড়াই শুরু করেছে চাষিরা। চলতি বছরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ কাটিয়ে অবশেষে আউশের আবাদ ঘরে তুলছে কৃষক পরিবার। তবে দাম নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে তারা। শেরপুরের সদর উপজেলাসহ শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতি, নকলা ও নালিতাবাড়ীতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আউস ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে।
সদর উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের কৃষক কাবলু মিয়া জানান, ইরি-বোরো ধান কাটার পর যে সব নিচু জমিতে বৃষ্টির পানি জমে, সেইসব জমিতেই আউশ জাতের ধান আবাদ করা হয়। ইরি-বোরো ধান কাটার পর প্রায় দুই মাস নিচু জমিগুলো খালি পড়ে থাকে। তাই অতিরিক্ত ফসলের জন্য আউশ ধান লাগাইছিলাম।
‘আগে হাউস (শখ) করে বোরো তোলা ও আমন রোপনের মাঝামাঝি সময়টাকে কাজে লাগাতেই আউশ চাষের প্রচলন হয়। তাই আউশকে হাউশের (শখের) ফসলও বলা হয়। প্রতিবছর আউস ধানের মৌসুমে বিভিন্ন জাতের ধান চাষ করে আসছেন তিনি। তারই ধারাবাহীকতায় এ বছরেও প্রায় দেড় একর জমিতে আউশের বিভিন্ন জাতের ধানের চাষ করেছেন। ফলন তেমন ভাল না হলেও সন্তুষ্ট। তবে ধানের দাম নিয়ে চিন্তাই আছেন বলে জানান।
শেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আশরাফ উদ্দিন বলেন, এ মৌসুমে শেরপুরে ৩ হাজার ৩০ হেক্টর জমিতে আউশের আবাদ হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া এবং রোগবালাই ও পোকা-মাকড়ের উপদ্রব কম থাকলে এবার এই উপজেলায় আউশেরর আশানুরূপ ফলন হবে এমনটাই আশা করেন এ কর্মকর্তা।